হিমালয়ের কোলঘেঁষে অবস্থিত দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে ঠান্ডা আবহাওয়া জেঁকে বসেছে শীত। দিনের বেলা আবহাওয়া গরম থাকলেও সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে ঠান্ডা। গত তিনদিন ধরে ১০ ডিগ্রির ঘরে রয়েছে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সন্ধ্যার পর থেকে এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে হিমেল হওয়া৷ কুয়াশার পরিমান হ্রাস পেলেও বেড়েছে কিছুটা শীতের তীব্রতা। ফলে অনেকখানি আকাশ পরিস্কার দেখা গেছে। আর আকাশ পরিষ্কার থাকার কারণে উঁকি দিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ সৌন্দর্য। চলতি মৌসুমে আজকেই প্রথম সবচেয়ে পরিস্কার কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
এদিকে শীতকে ঘিরে জমে উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন হাট বাজার ও ফুটপাতে পিঠাপুলির দোকান। ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে অস্থায়ী গরম কাপড়ের দোকানগুলোও। দিনের বেলা ঝকঝকে রোদ থাকলেও সন্ধ্যার আমার সাথে সাথে কিছুটা শীত অনুভূত হচ্ছে। রাত যতই গভীর হয় শীতের তীব্রতাও বৃদ্ধি পায়।
এদিকে সরে জমিনে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন এলাকায় নিম্ন মানুষরা এই শীতের কারণে কিছুটা দুর্ভোগে পড়েছেন। এছাড়া আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে পঞ্চগড় সদর হাসপাতাল সহ জেলা চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা শহরের রিক্সাচালক শাহ আলম বলেন,দিনের বেলা গরম থাকলেও সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে কিছুটা শরত অনুভূত হয় । আমাদের রিকশা চালাতে অনেক কষ্ট হয় রাতে।
একই কথা বলেন জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় মহানন্দা নদীতে পাথর উত্তোলন করতে আসা শ্রমিক আব্দুস সামাদ, তিনি বলেন,আমরা গরীব মানুষ, নদীতে পাথর তুলে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু নদীর পানি অনেক ঠান্ডা, এছাড়া কয়েকদিন থেকে অনেক শীত পড়তেছে। আমাদের কাজ করতে অনেক কষ্ট হয়।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন,গত কয়েকদিন থেকে তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা উঠানামা করছে। মূলত এ এলাকা থেকে হিমালয়ের অনেক কাছাকাছি অবস্থান। তাই যখনই হিমেল হওয়া এ জেলার উপরো দিয়ে বয়ে যায় তখনই তাপমাত্রা হ্রাস পায়। তবে আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রার আরও হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।