ঢাকা- সিলেট মহাসড়কে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ঘাসিরদিয়া নামের স্থানে ট্রাক- মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে সাতজন নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন পাঁচজন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পার গোপালপুর গ্রামের আব্দুল গনি হাওলাদারের ছেলে গ্রাফিক ডিজাইনার আল-আমীন(২৮), টাঙ্গাইলের দেলদোয়ার উপজেলার মীর কুম্মলি গ্রামের মীর মোতাহার হোসেন ওরফে লাল মিয়া ছেলের সবুজ মিয়া (২৯), গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকার আইয়ুব খানের ছেলে আল আমিন (২৭), মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার তোফায়েল আহমেদের ছেলে আব্দুল আউয়াল(২৯), বরিশাল সদর উপজেলার মুজিবুর হাওলাদারের ছেলে আরিয়ান ওরফে রায়হান হাওলাদার (২৫), জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার দুদু মিয়ার ছেলে রাজু আহমেদ (৩৭) এবং গাজীপুরের ভবানীপুর এলাকার বাবুল হোসেন। মুমূর্ষু অবস্থায় আহত বাকী ৫ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের ইটাখোলা ফাড়ির ইনচার্জ মো. কবির হোসেন ভূঞা বলেন, রাত দুইটার দিকে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থালে ৫ জন ও হাসপাতালে নেয়ার পর আরো ২ জনসহ মোট ৭ জন মারা গেছেন। আহতদের প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে পরে ঢাকায় পাঠানো হয়ছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ট্রাকসহ ট্রাক চালককে আটক করা হয়েছে।
শিবপুর থানা পুলিশ জানায়, সাভারের আশুলিয়া এলাকায় প্রতিষ্ঠিত এসবি নিটিং লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানার ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী রাতে ঢাকা থেকে একটি মাইক্রোবাস নিয়ে সিলেট ভ্রমণে যাচ্ছিলেন। মাইক্রোবাসটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুরের ইটাখোলায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পাথরবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
নিহত গ্রাফিক ডিজাইনার আল-আমীনের ভাই একই কোম্পানির কর্মকর্তা মো. জাকিরুল ইসলাম আনসারী ও অন্যান্য লোকজন নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে এসে আত্মীয়দের লাশ শনাক্ত করেছেন।