ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আবাসিক ও একাডেমিক স্থানগুলো সব প্রকার দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) বা হল সংসদ নির্বাচনে সব প্রার্থীকে স্বতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করাসহ ছাত্র রাজনীতি নিয়ে ৮ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে ইউনিভার্সিটি রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ (ইউআরআই)।
শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ প্রস্তাবনা তুকে ধরেন প্ল্যাটফর্মটির মুখপাত্র আদনান মুস্তারি।
প্রস্তাবনাগুলো হলো: ১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক স্থান (হল, হোস্টেল প্রভৃতি) এবং একাডেমিক স্থান (অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট প্রভৃতি)-এ সব প্রকার দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি (সভা-সমাবেশ, মিছিল, মিটিং, সম্মেলন, র্যালি, শোডাউন প্রভৃতি) নিষিদ্ধ করা হবে। ২. কোনো প্রকার রাজনৈতিক পরিচয় বা সংশ্লিষ্টতা ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী উল্লেখিত স্থানগুলো প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা, কোনো সুযোগ-সুবিধা আদায় বা বিশেষ বিবেচনা লাভের প্রচেষ্টা চালাতে পারবে না।
তবে হলে রাজনৈতিক মতাদর্শের শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবে কি-না প্রশ্নে আদনান মুস্তারি বলেন, দেশের সুস্থ বিকাশের জন্য ছাত্র রাজনীতির সব পঙ্কিলতা দূর করে শিক্ষাঙ্গন ও রাজনীতির সঙ্গে একটা পরিষ্কার বোঝাপড়া থাকা জরুরি। মতপ্রকাশ করার স্বাধীনতা সবার আছে। আমরা কারো সাংবিধানিক অধিকার বঞ্চিত করার পক্ষে না। রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারবে তবে সেখানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবে না। দলীয় লেজুরবৃত্তি, হল দখল সংস্কৃতি, নিয়োগ বাণিজ্য, বয়সের দিক দিয়ে 'আদুভাই'-তুল্য ছাত্র নেতা, বাধ্যতামূলক মিছিল, গেস্টরুম, গণরুম ছাত্ররাজনীতির ট্রেডমার্ক হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সংগঠনটির মুখপাত্র শহীদুল্লাহ্ হলের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আদনান মুস্তারি এবং বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থী রাফিয়া রেহনুমা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী তামিম মুনতাসির, ফজলুল হক মুসলিম হলের আনোয়ার ইব্রাহীম বিপ্লব, বিজয় একাত্তর হলের জোবায়ের হোসেন শাহেদ, ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলের রেদওয়ানুল হাসান শান্ত প্রমুখ।