ডাকসু নির্বাচন করতে না পারা প্রশাসনের ব্যর্থতা, বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। ডাকসু নির্বাচন প্রতিবছর হবে। প্রশাসন সেটা করে না কেন? এটা প্রশাসনের ব্যর্থতা। ডাকসু নির্বাচনে সরকার বা আওয়ামী লীগের হস্তক্ষেপ নেই।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মুহসিন হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বলেন, দেশের টাকা লুটপাট করায় জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রধানমন্ত্রী মানবিক কারণে তাকে (খালেদা জিয়া) বাসায় থাকতে দিয়েছেন। এর মানে এই নয় যে, তার সাজা বাতিল হয়ে গেছে। তিনি রাজনীতি করবেন নাকি নির্বাচন করবেন সেটা আদালতের জাজমেন্টের বিষয়।
এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনীর আয়োজকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সব জায়গায় রাজনীতি করতে চাই না। আগামী বছর যেন এমন প্রোগ্রাম যেন নন-পলিটিক্যাল হয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলে আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রিত অনুষ্ঠান এটা আমাদের অ্যালামনাইয়ের চরিত্র হওয়া উচিত নয়। অমুক মন্ত্রীকে এনে প্রধান অতিথি করতে হবে এর সঙ্গে আমি একদম একমত নই। এখানে আমি মুহসিন হলের প্রাক্তন আবাসিক ছাত্র হিসেবে আসবো। আমরা আড্ডা দেবো, একসাথে খাবো, পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণ করবো। হাসিখুশিতে সময়টা কাটিয়ে দেবো। এটি কোনো পলিটিক্যাল জায়গা নয়। পরবর্তী সময়ে যেন রাজনীতির বাইরে থেকে এ ধরনের আয়োজন করা হয়।
অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুসসহ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়শনের সদস্যরা।