সম্ভবত ডাক্তাররা যখন প্রেসক্রাইব করেন তখন অনেকেই অসহায় হয়ে পড়েন। হিজিবিজি হাতের লেখায় কিছুই বোঝা যায় না। ডাক্তারের দুর্বোধ্য হাতের লেখার উত্তর খুঁজতে তাড়াতাড়ি ছুটতে হয় ফার্মেসিতে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হাতের লেখা তাদেরই অসুন্দর হয়, যাদের মস্তিষ্ক খুব দ্রুত কাজ করে। বুদ্ধিমত্তার দ্রুততার সঙ্গে লেখার গতির তাল মেলাতেই অনেকে হারিয়ে ফেলেন তাদের হাতের লেখার সৌন্দর্য। তবে মস্তিষ্ক দ্রুত কাজ করা সব ব্যক্তিই তো আর ডাক্তারি পেশায় নিয়োজিত নন। তবে ডাক্তারদের হাতের লেখা খারাপ হওয়ার পেছনে আরও কিছু কারণ রয়েছে।
ডাক্তারদের হাতের লেখা হওয়ার খারাপ হওয়ার পেছনে অনেকাংশেই দায়ী চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় থাকা জটিল, কটমটে ও অদ্ভুত সব শব্দ। উচ্চারণ করতে দাঁত ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হওয়া এসব শব্দের সম্পূর্ণ শুদ্ধ বানান রপ্ত করা একপ্রকার অসম্ভবই বলা চলে। আর তাই, শিক্ষাজীবন থেকেই প্রথম দুই বা তিন অক্ষর ঠিক রেখে বাকিটা টানা অক্ষরেই লেখেন ডাক্তাররা যাতে ভুল ধরা না পড়ে। পরবর্তীতে এটি অভ্যাসে পরিণত হয়।
পাশাপাশি দ্রুতলিখনও ডাক্তারদের হাতের লেখা খারাপ হওয়ার পিছনে অন্যতম একটি কারণ। মেডিক্যালের পরীক্ষাগুলোতে শিক্ষার্থীদের খুব কম সময়ে অনেক তথ্য লিখতে হয়। পেশাগত জীবনেও রোগী দেখার সময় ডাক্তারদের বিভিন্ন তথ্য টুকে রাখতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই, তাদের পক্ষে হাতের লেখা ঠিক রাখা অত সহজ কথা নয়। চিকিৎসকদের এত বেশি রোগী বা রোগের দিকে মনোযোগ দিতে হয় যে লেখার দিকে তারা মনোযোগ দিতে পারেন না। এসব দিক বিবেচনায় প্রায় সব দেশেই ডাক্তারদের হাতের লেখা বিদঘুটে হয়।