পবিত্র রমজান আসার পর থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শহীদ মিনার, কেন্দ্রীয় মাঠে ও বিভিন্ন ফ্যাকাল্টিতে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো সংগঠন, বিভাগ অথবা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ইফতার মাহফিলের আয়োজন করছে। সেসব অনুষ্ঠান শেষে সবাই খাবারের প্যাকেট, উচ্ছিষ্ট, কাগজপত্রসহ বিভিন্ন ময়লা ডাস্টবিন থাকা স্বত্ত্বেও রাস্তাঘাটে ফেলে রেখে চলে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্ত্বর, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, কেন্দ্রীয় মাঠসহ বিভিন্ন রাস্তায় ও একাডেমিক ভবনের আশপাশে প্রায় ত্রিশটি ডাস্টবিন স্থাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারপরেও ডাস্টবিনের বাইরে কাগজ, খাবারের প্যাকেট, প্লাস্টিকের প্লেট, বোতল ইত্যাদি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। ক্যাম্পাসের প্রায় প্রতিটি চত্বরেই একই চিত্র।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুল আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, যত্রতত্র ময়লা না ফেলে আমাদের নির্ধারিত স্থানে ফেলা উচিত। আগে ডাস্টবিন ছিলো না, এখন ডাস্টবিন থাকা স্বত্ত্বেও আমরা ময়লা যেখানে সেখানে ফেলছি। যা দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর প্রতি আহ্বান থাকবে আমরা সকলেই যেন নির্ধারিত স্থানে অর্থাৎ ডাস্টবিনে ময়লা ফেলি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুনের ক্যাডেট সার্জেন্ট মো. সামিন বখশ সাদী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা বিএনসিসির পক্ষ থেকে আমাদের সাপ্তাহিক ড্রিল ক্লাসের সময় ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে থাকি। ডাস্টবিন বসানো হলেও অনেকে আলসেমি করে ডাস্টবিনের ঢাক না খুলে ময়লা ফেলতে হবে বলে ডাস্টবিনের ভেতরে ময়লা না ফেলে বাইরে ফেলছে। আবার ডাস্টবিনের ময়লা সময়মতো অপসারণ না করার ফলে তা পচে গিয়ে দুর্গন্ধ হচ্ছে, তাই অনেকে ঢাকনা খুলে ময়লা ফেলতে চায় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউটের রোভারমেট মাহমুদুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, রোভার স্কাউট ক্যাম্পাস পরিষ্কার রাখতে সর্বদা চেষ্টা করে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ডাস্টবিন ব্যবহারে তেমন সচেতন নয় বলে এমন হচ্ছে। সচেতনতা তৈরিতে যদি বিভিন্ন রকম ক্যাম্পেইন ও লিফলেট বিতরণ করা হয় তবে সচেতনতা বৃদ্ধি হবে বলে বিশ্বাস করি।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ও পরামর্শক দপ্তরের পরিচালক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বহুদিন ডাস্টবিন না থাকায় শিক্ষার্থীদের মাঝে যেখানে সেখানে ময়লা ফেলার একটি অভ্যাস গড়ে উঠেছে। এ অভ্যাস দূর করার জন্য প্রতিটি বিভাগের যে ছাত্র পরামর্শক আছে উনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে বলবো। এগুলো এস্টেট শাখার কাজ এবং তাদেরকে জানিয়ে দেয়া হবে যেনো দ্রুত সবকিছু পরিষ্কার করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার সেকশন অফিসার মোহাম্মদ শাহ আলম খান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ডাস্টবিনগুলো আমরা পরিষ্কার করে ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু গত কিছুদিন কাজের একটু চাপের কারণে আমাদের হয়তো পরিষ্কার করা হয়নি, তবে জলদিই সবকিছু পরিষ্কার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।