ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। নেতারা বলেছেন, নিবর্তনমূলক এই আইনের মাধ্যমে সরকার নাগিরকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করে চলেছে। সরকারের একের পর এক গণবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ দমনে এই আইনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাসদ কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে ৩১টি সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠ নেতাদের মতবিনিময় সভায় এই দাবি জানানো হয়।
এ সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে আগামী ৬ মে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে বাম জোটের প্রতিবাদী সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় আরও বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শিক্ষক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মীদের গ্রেপ্তার ও কারাগারে নিক্ষেপ করা হচ্ছে। বিরোধী দল, প্রগতিশীল সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন এমনকি জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকেও এই আইন বাতিলের দাবি করা হচ্ছে। অথচ সরকার নিজেদের রক্ষার জন্য গণদাবি উপেক্ষা করে চলেছে।
বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে সভায় বাম জোট নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিখিল দাস,
গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদের (মার্কসবাদী) নেতা মানস নন্দী, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের নেতা তৈমুর খান অপু, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ। ৩১টি সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সহসভাপতি জামসেদ আনোয়ার তপন, গণসংস্কৃতি ফ্রন্টের নেতা ইফতেখার আহমেদ বাবু, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সহসভাপতি শাহজাহান কবীর, কামরুজ্জামান ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ।