ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জিএমপি উপকমিশনার আবু মোহাম্মদ শামসুর রহমান জানান, ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে শুক্রবার রাতে বাসন থানার এসআই রোকন মিয়া বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেছিলেন।
এর আগে, মাহি ও রকিব ফেসবুকে লাইভে অভিযোগ করেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশানার মোল্যা নজরুল ইসলাম দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে তাদের গাড়ির শোরুম ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান প্রতিপক্ষকে দখল করে দেবেন চুক্তি করেছেন। সেই অনুযায়ী শুক্রবার ভোর ৫টায় সন্ত্রাসীরা সেখানে হামলা করেছে।
শোরুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে সনিরাজ কার প্যালেস গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন আসবাব, দরজা জানালার কাঁচ এবং টেবিল চেয়ার ভাঙচুর ও শো রুমের সাইনবোর্ড খুলে নেওয়া হয়। শো রুমের অফিসকক্ষ তছনছ করে এবং টাকা পয়সা লুট করে নেয়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
এদিকে নায়িকার অভিযোগের বিষয়ে জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের ভাষ্য, এই অভিযোগ ডাহা মিথ্যা। দুপক্ষের দ্বন্দ্বে পুলিশকে জড়ানোর কিছু নেই। একটি শ্রেণি দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় চাঁদাবাজি, দখলদার ও মাদক ব্যবসায় জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে জিএমপি। আর তাই তারা একজন সেলিব্রেটিকে পুঁজি করে আমাদের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ বানোয়াট অভিযোগ এনেছে। এ ঘটনায় আমি কিংবা গাজীপুর মহানগর পুলিশের সংশ্লিষ্টতার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, রকিব সরকার জমি দখল করে নিয়েছেন, এই মর্মে প্রতিপক্ষ গ্রুপ মামলার আবেদন করেছেন। তবে আমি জিএমপিতে যোগদানের পর কোনো পক্ষই জমির বিষয়টি আমার সামনে আনেনি। ব্যক্তিগতভাবে আমি তাদের চিনিও না। মাহির এই অভিযোগে আমি মর্মাহত।
জিএমপির বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানোয়ার জাহান বলেন, ৯৯৯-এ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে হামলাকারীদের কাউকে পাওয়া যায়নি। শো রুমের জায়গা নিয়ে মালিকানার দ্বন্দ্বে মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।