গত কয়েক বছর ধরে ডিসিরা (জেলা প্রশাসকরা) তাদের বার্ষিক সম্মেলনে যেসব প্রস্তাব দেন তা নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় বিভিন্ন পেশাজীবী বা ক্যাডারের মধ্যে। গত সম্মেলনের প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন প্রকৌশলীরা। তারা দল বেঁধে ডিসিদের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত পরিকল্পনামন্ত্রী হয়ে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত গড়িয়েছে। এর আগে কাস্টমস ক্যাডার কর্মকর্তাও একই ঘটনা ঘটিয়েছেন। ডিসিদের এবারের সম্মেলনে যেসব প্রস্তাব করা হয়েছে তাতে ফুঁসে উঠতে পারেন শিক্ষা, প্রকৌশল, কাস্টমস, সমবায়, পররাষ্ট্রসহ একাধিক ক্যাডারের কর্মকর্তারা। বিভিন্ন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠনের নেতারা এমনটাই জানিয়েছেন ডিসিদের প্রস্তাবের কথা শুনে।
আজ মঙ্গলবার তিন দিনের ডিসি সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কাজের চাপ বেশি হওয়ায় তা বাস্তবায়নে সমস্য হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের জন্য আলাদা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছেন। তিনি মনে করছেন, পৃথক অধিদপ্তর হলে সেবা দেয়া ও মাঠ পার্যায়ের কার্যক্রম মনিটরিং সহজ হবে। যদিও শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা এর বিরোধিতা করেছেন। তারা অধিদপ্তরের অখণ্ডতা রক্ষার দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষা ক্যাডারদের মতে, অধিদপ্তর বিভক্ত হলে সেখানে শিক্ষা ক্যাডারদের পদ কমিয়ে দেয়া হয়। ফলে প্রশাসন ক্যাডারদের হাতে ক্ষমতা চলে যায়। এতে শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
জেলা পর্যায়ে রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত সমন্বয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন গোপালগঞ্জের ডিসি। এতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে রাজস্ব আদায়ের নতুন নতুন উৎস চিহ্নিত করা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন। জেলার সব বিভাগের রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত পূর্ণাঙ্গ তথ্যপ্রাপ্তি ও রাজস্ব আদায় স্থানীয় সমস্যা চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি রাজস্ব আহরণে গতিশীলতা বাড়বে বলেও তিনি জানান। এর ফলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জনবলকে কাজে লাগানো সম্ভব হবে বলেও গোপালগঞ্জের ডিসি মনে করেন।
একই ধরনের প্রস্তাব দিয়ে মহামারীর আগে কাস্টমস ক্যাডারের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন ডিসিরা। তারা স্মারকলিপি দিয়েছিলেন, প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন সরকারের নানা পর্যায়ে।
সরকারি রাজস্ব প্রশাসনের উন্নয়ন বরাদ্দে ডিসিদের আয়ন-ব্যয়ন ক্ষমতা দেওয়ার সুপারিশ করেছেন পটুয়াখালীর ডিসি। ভূমি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত অর্থে বর্তমানে উপজেলা পর্যায়ে এসিল্যান্ডের কার্যালয় এবং ইউনিয়ন ভূমি অফিস গণপূর্ত বিভাগ বা এলজিইডি নির্মাণ করে। এসব কাজের প্রকল্প গ্রহণ, প্রকল্প প্রস্তুত, অনুমোদন, টেন্ডার প্রক্রিয়া ও বাস্তবায়ন এসব ক্ষেত্রে ডিসির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এলজিইডি বা গণপূর্ত বিভাগ তাদের পছন্দ অনুযায়ী প্রকল্প প্রস্তুত করে নিজেদের মতো বাস্তবায়ন করে। যথাযথ মনিটরিংয়ের অভাবে প্রকল্পের কাজ মানসম্পন্নভাবে যথাসময়ে শেষ হয় না। ঠিকাদার বারবার নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম করলেও প্রকৌশল বিভাগ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। সময় বাড়ার ফলে নির্মাণসামগ্রী বাজারমূল্য বেড়ে যায় এবং ঠিকাদার বিভিন্ন অজুহাতে প্রকল্পের কাজ বিলম্বিত করে। এসব কাজের আর্থিক ক্ষমতা জেলা প্রশাসককে দেওয়া হলে কঠোর মনিটরিংয়ের মাধ্যমে যথাযথভাবে কাজ সমাপ্ত করা যাবে বলে পটুয়াখালীর ডিসি মনে করেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত অর্থে উন্নয়ন প্রকল্পের আয়ন-ব্যয়ন ক্ষমতা ডিসিকে দেওয়ার সুপারিশ করেছেন পিরোজপুর ও ঝালকাঠির ডিসি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত অর্থে সাধারণত ডিসির কার্যালয়ের সার্কিট হাউজ, ডিসির বাসভবন ও কনভেনশন সেন্টার প্রকল্প গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে হয়। সেই কাজেরই নিয়ন্ত্রণ চাচ্ছেন ডিসিরা।
এ ধরনের প্রস্তাবের কথা শুনে ক্ষোভ জানিয়েছেন গণপূর্ত ও এলজিইডির প্রকৌশলীরা।
মৌজা রেট নির্ধারণে সর্বনিম্ন বাজারমূল্য নির্ধারণ বিধিমালার কমিটি সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছেন ঝিনাইদহের ডিসি। ২০১২ সালের আগে সর্বনিম্ন মৌজা রেট নির্ধারণে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি ছিল। পরে জেলার রেজিস্ট্রারের নেতৃত্বে দুজন সাব-রেজিস্ট্রার এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের সমন্বয়ে নতুন কমিটি করা হয়। বিভিন্ন উপজেলায় মৌজার নির্ধারণের ব্যাপক অসংগতি দেখা যায়। ফলে সর্বসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে ডিসি জানিয়েছেন। জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিক ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। ভূমি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে শুধু নিবন্ধন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি কর্তৃক জমির মৌজা রেট নির্ধারণের ফলে শ্রেণিভিত্তিক বাজারমূল্য ও প্রকৃত বাজারমূল্যের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান তৈরি হচ্ছে বলেও তিনি মত দিয়েছেন। ফলে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে অস্পষ্টতা, অস্বচ্ছতা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব কম আদায় হচ্ছে। এ ছাড়া সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে উপজেলা পরিষদে হস্তান্তরিত দপ্তর না হওয়ায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানকে এ কমিটিতে রাখা নীতিগতভাবে সম্মত নয় বলে ডিসি জানিয়েছেন। এ প্রেক্ষাপটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে জমির বাজারমূল্য নির্ধারণ কমিটিতে জেলা প্রশাসক বা তার প্রতিনিধি হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে সভাপতি করে কমিটি গঠনের।
ডিসির নেতৃত্বে মৌজা রেট নির্ধারণী কমিটি নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন সমবায় ক্যাডার কর্মকর্তারাও।
আইএমইডির অধীনে একটি অধিদপ্তরসহ বিভাগীয় পর্যায়ে অফিস স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলেছেন দিনাজপুরের ডিসি। এর ফলে মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সার্বক্ষণিক মনিটরিং সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন। এ ধরনের একটি প্রস্তাবে গত ডিসি সম্মেলনে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন প্রকৌশলীরা।
বিদেশে অবৈধ কর্মীদের দেশে ফেরত আনার ক্ষেত্রে কিংবা লাশ পাঠানোর জন্য ঠিকানা এবং পরিচয় যাচাই দ্রুত করার জন্য প্রথম সচিবকে (শ্রম ও কল্যাণ) সরাসরি ডিসির সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রস্তাব করেছেন ফেনীর ডিসি। এতে সময় কম লাগবে, সেবা সহজ হবে এবং মানুষের ভোগান্তি কমে যাবে বলে তিনি যুক্তি দিয়েছেন। বর্তমানে এ কাজটি করা হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত ঊর্ধ্বতন অফিস জারিকৃত সব ধরনের পত্রের অনুলিপি ডিসি এবং ইউএনওকে প্রদান করার প্রস্তাব করেছেন মাদারীপুরের ডিসি। তিনি বলেছেন, মাঠপর্যায়ে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আন্তঃবিভাগ সমন্বয় সাধনে সমস্যা হচ্ছে। দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য শিক্ষাসংক্রান্ত সব ধরনের পত্রসহ আদেশ পরিপত্র ও প্রজ্ঞাপন ইত্যাদি বিষয়ে ডিসি এবং ইউএন ও অফিসের অবগত থাকা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
নৌবন্দর পরিচালনাসংক্রান্ত কোনো কমিটি না থাকায় একটি জেলা কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন বরিশালের ডিসি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে ডিসিকে সভাপতি করে এ ধরনের কমিটি করার জন্য।
জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন গোপালগঞ্জের ডিসি। স্বাভাবিকভাবেই এ ধরনের কমিটি হলে ডিসি বা ইউএনও প্রধান থাকবেন। এ বিষয়ে চিকিৎসক ক্যাডারদের আপত্তির মুখে পড়তে হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের বাইরে বিজিবি সদস্যদের গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটলে তা নির্বাহী তদন্তের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার প্রস্তাব করেছেন খাগড়াছড়ির ডিসি।
দন্ডবিধি ১৭০, ১৭১, ৪১৯ ধারা মোবাইল কোর্ট আইনে তফসিলভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন সাতক্ষীরার ডিসি। বিশেষ কোনো ব্যক্তি পদে অধিষ্ঠিত না হয়েও নিজেকে সেই পদের পরিচয় দেন অনেকে। বিভিন্ন বাহিনীর ইউনিফর্ম ব্যবহার করে প্রতারণা করেন যা দন্ডবিধির আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ভুয়া পরিচয়দানকারী ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিক শনাক্ত করা গেলেও ওই অপরাধ মোবাইল কোর্ট আইনের তফসিলভুক্ত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় না।
সরকারি চাকরিজীবীর সন্তানের জন্য শিক্ষাসহায়ক ভাতা যুগোপযোগীকরণের প্রস্তাব দিয়েছেন নরসিংদীর ডিসি। চাকরিজীবীর এক সন্তানকে মাসে ৫০০ টাকা হারে এবং দুই সন্তানের জন্য সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা শিক্ষাসহায়ক ভাতা দেওয়া হয়। বর্তমান সময়ে এটা খুবই অপ্রতুল বলে তিনি মনে করেন। স্কুলের বেতনভাতা বৃদ্ধিসহ শিক্ষা উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি এ ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।
সরকারি চাকরিজীবীর চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধিরও প্রস্তাব করেছেন নরসিংদীর ডিসি। এক সপক্ষে তিনি দুটি যুক্তি দেখিয়েছেন। প্রথম যুক্তি হচ্ছে চিকিৎসা ও ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আর দ্বিতীয় যুক্তি হচ্ছে জটিল ও কঠিন রোগের প্রকোপ বেড়েছে। বর্তমানে চাকরিজীবীরা মাসে ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান।
‘সরকারি দাবি আদায় আইন, ১৯১৩’ যুগোপযোগীকরণ ও ম্যানুয়েল তৈরি করার প্রস্তাবও নরসিংদীর ডিসি। তার যুক্তি আইনটি ১১০ বছরের পুরনো, সময়ের বিবর্তনে আইনের কিছু ধারা সংশোধন করা হলে আইনটি আরও কার্যকর হবে। তিনি আইনটির প্রয়োগ সহজ করার জন্য ম্যানুয়েল প্রণয়ন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন।
১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীদের টিফিন ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন ঝালকাঠির ডিসি। বর্তমানে এসব গ্রেডভুক্ত কর্মচারীরা মাসে ২০০ টাকার টিফিন ভাতা পান। এর সপক্ষে যুক্তি হিসেবে ডিসি বলেছেন টিফিন সামগ্রীর দাম বেড়েছে। কর্মচারীদের আর্থিক সহায়তা বাড়লে দ্রুত কাজ সম্পাদনে আগ্রহ বাড়বে বলে তিনি মনে করেন। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনকে ব্যয়বহুল এলাকা হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব করেছেন কুমিল্লার ডিসি। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার ডিসি।
পটুয়াখালীর ডিসি কৃষি ঋণ বিতরণ কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য বলেছেন। এ ডিসির মতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মাঠপর্যায়ে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হয় না। মাঠপর্যায়ে ব্যাংকের শাখার কর্মকর্তারা বাস্তবায়নে অনাগ্রহ দেখায়। নদীনালা খাল-বিলের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য ডিসির থোক বরাদ্দ চেয়েছেন গোপালগঞ্জের ডিসি।
সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার মতো বেসরকারি এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের জন্য আচরণ বিনিমালা চেয়েছেন ঝিনাইদহের ডিসি। তার যুক্তি, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের একটি বড় অংশ সরাসরি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার সুযোগ রয়েছে। এ সংক্রান্ত বিধিমালা থাকলে শিক্ষকতা পেশায় থেকে রাজনৈতিক সুবিধা গ্রহণের শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করা সম্ভব হবে। এতে শ্রেণি কার্যক্রমে তাদের দায়সারা আচরণ বন্ধ হবে। শিক্ষকতার পাশাপাশি ঠিকাদারি সাংবাদিকতাসহ একাধিক পেশায় জড়িত থাকার প্রবণতা রোধ করা সম্ভব হবে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে পোষ্য কোটা বাতিল করার প্রস্তাব করেছেন কুড়িগ্রামের ডিসি। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজেলাভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে পোষ্য কোটা থাকায় যোগ্য প্রাার্থীদের ডিঙ্গিয়ে অনেক দুর্বল প্রার্থী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন। এর ফলে শিক্ষকতার মান কমে যাচ্ছে। একই পরিবারের চাকরিজীবীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। দরিদ্র পরিবারের মেধাবী প্রার্থী বঞ্চিত হচ্ছে। সরকারের নীতিনীতির সঙ্গেও বিষয়টি সাংঘর্ষিক। কারণ সরকারের নীতি হচ্ছে প্রতি পরিবারে চাকরি দেওয়া।