ইউএনও, এডিসি, ডিসিকে সম্মানী দিতে অতিরিক্ত ফি দিতে হয়। সরকারি পাতারহাট আর সি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলামের এমন একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সোমবার (২৪ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে এমন কথা বলেন আর সি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম।
ভাইরাল হওয়া ৩মিনিট ৩ সেকেন্ডের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর করা ভিডিওতে অতিরিক্ত ফি আদায় কেনো করছেন? ৫০০ টাকা দেয়ার এবিলিটি যাদের নাই তারা কি করবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যারা গরিব তারা টাকা দিয়া গেছে, রিকশাওয়ালার পোলা টাকা দিয়া গেছে, যারা ধনী সামর্থ্যবান তারা যুদ্ধ করে কেমনে প্রিন্সিপালকে হেনস্তা করা যায়। ছাত্রীকে বলেন, তুমি গরীব হলে কেমনে? তুমি তো এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করো, আমি স্টুডেন্ট অবস্থায় তো চিন্তাও করি নাই।
আমার ওপর দায় চাপালে হবে না আমি তো বেতনের টাকায় হাত দেব না, আমার তো সংসার আছে ইউএনওর সন্মানী, জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সম্মানী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (এডিসি) সন্মানী পাঠাতে হবে। দুজন ট্যাগ অফিসার আছে এদের সম্মানী পাঠাতে হবে। আমাকে ২১ দিনের ট্রেনিংয়ে সম্মানী দিয়েছে ৫৩ হাজার টাকা; আর আমার খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকা। আমাকে খরচ না দিলে আমি ট্রেনিং করবো না; এটা সমঝোতার পথ তোমরা সমঝোতার পথ বন্ধ করে দিলে তোমরাই ক্ষতিগ্রস্থ হবা। তোমাদের কাছ থেকে বলা যায় এক প্রকার জোর করে টাকাটা নিছি। কারণ, আমি কি করবো, আমার তো সংসার আছে।অধ্যক্ষ ভিডিওতে আরো বলেন, অনার্সের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেন্দ্র ফি নেয়া হয়নি। তারা আসতেছে নিয়ে যাচ্ছে আমারও কোনো টেনশন নেই। ডিসির সম্মানী লাগবে না, এডিসির লাগবে না আর ইউএনওরও লাগবে না ওডা বিএম কলেজের ব্যপার।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, ডিগ্রি ২য় বর্ষের এডমিট কার্ড এর জন্য ৫০০ টাকা অতিরিক্ত ফি আদায় করেছেন ৫০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে অধ্যক্ষের কাছে আমরা গেলে তিনি এসব কথা বলেন, যা ভিডিওতে আছে।
এ বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার ২৫ জুন বেলা ১১ টা থেকে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা এরপর পুলিশ প্রশাসন অনুরোধ করলে শিক্ষার্থীরাসহ অধ্যক্ষের কাছে গেলে অতিরিক্ত ফি মওকুফ করে দেন।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলামকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রুম্পা সিকদার দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন।