গাজীপুরের ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দেয়ালে স্থাপিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এরপর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা ও বঙ্গবন্ধুর ‘৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ’ প্রচার করা হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ হঠাৎ করে আসেনি। এর প্রেক্ষাপট দীর্ঘদিনের, যা জাতির পিতার দীর্ঘ এক আন্দোলন ও সংগ্রামের ফসল। ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অমর বাণী। এ ভাষণ বাঙালি জাতিকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিলো। একটি ভাষণের মধ্য দিয়েই একটি জাতি উদ্বুদ্ধ হয়েছিল সশস্ত্র গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার জন্য। এই ভাষণের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, সেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে যাওযার আগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সঙ্গে পরামর্শ করেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনে দীক্ষিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। এছাড়া তিনি অগ্নিঝরা এই মার্চ মাসে ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবন ও কর্ম তুলে ধরে চিত্র প্রদর্শনী, ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ও উন্নত রাষ্ট্রের ভাবনা’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা এবং ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুলের উদ্যোগে রচনা প্রতিযোগিতা।