ম্যাচের শেষ ১০ মিনিট রিতু চাকমাকে আটকাতে হিমশিম খেয়েছে পাকিস্তানের রক্ষণভাগ। বামপ্রান্ত দিয়ে বাংলাদেশি এই তারকা একের পর এক আক্রমণ সাজান। ৯০ মিনিট শেষে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের পরাজয় যখন সময়ের ব্যাপার, তখনই রিতুর চমৎকার এক প্লেমেকিং এবং সেখান থেকে শামসুন্নাহার জুনিয়রের গোল। শেষ পর্যন্ত জিততে না পারলেও ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
নেপালের দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে আজ রোববার (২০ অক্টোবর) সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামে বাংলাদেশ। আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সাবিনা-রিতুরা। তবে, শুরুটা চ্যাম্পিয়নের মতো করতে পারেনি বাংলাদেশ। ৪-৩-৩ ফর্মেশনে দল সাজান বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার। শুরু থেকে অবশ্য গোছালো ফুটবল খেলেনি তার শিষ্যরা। বল দখল কিংবা আক্রমণে এগিয়ে ছিল পাকিস্তান। নিজেরা আক্রমণে ওঠার চেয়ে প্রতিপক্ষকে সামলাতে ব্যস্ত থাকে বাংলাদেশ। সেটিও যে খুব ভালোভাবে সামাল দিতে পেরেছে, তা নয়।
ম্যাচের ৩৩ মিনিটে দুর্বল এক আক্রমণ থেকে গোল পায় পাকিস্তান। নিজেদের অর্ধ থেকে লম্বা ক্রস করেন রামিন ফরিদ। বল পান জাহমিনা মালিক। বাংলাদেশের দুই ডিফেন্ডার মিলেও ব্যর্থ হন শট ঠেকাতে। ডি বক্সের ভেতর জাহমিনের শটও তেমন জোরালো ছিল না। কিন্তু, সেটিই আটকাতে পারলেন না বাংলাদেশ গোলরক্ষক রুপনা চাকমা। তাতে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতি থেকে ফিরে একটু একটু করে গুছিয়ে নেন রিতুরা। রক্ষণভাগ সামলে আক্রমণে মনোযোগ দেয়। ফিনিশিংয়ের অভাবে গোল পাওয়া হচ্ছিল না। ৯০ মিনিটে একেবারে নিজেদের অর্ধ থেকে আক্রমণ তৈরি করে বাংলার নারীরা। মারিয়া মান্ডার পাস খুঁজে নেয় রিতুকে। মাঝমাঠ থেকে ক্ষিপ্রগতিতে ছিটকে দেন পাকিস্তানি রক্ষণকে। তার এরপর বাড়ান লম্বা ক্রস। যা থেকে মাথা ছুঁইয়ে বল পাকিস্তানের জালে পাঠান শামসুন্নাহার।
সমতায় ফিরে আরও গতিশীল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। ৯১ মিনিটে (যোগ করা ৬ মিনিটের শুরুতে) মারিয়ার লম্বা শট একটুর জন্য বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ৯৪ মিনিটে পাওয়া ফ্রি কিকও বার ঘেঁষে যায়। শেষ পর্যন্ত ১-১ ষমতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে।