ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কর্মময় জীবন - দৈনিকশিক্ষা

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কর্মময় জীবন

মোঃ মোস্তফা মিয়া |

যে জাতি সম্মানি ব্যক্তিকে সম্মান দিতে জানে না, সে জাতির মধ্যে সম্মানি মানুষের আগমন ঘটে না। আমাদের সৌভাগ্য, আমাদের তরুণ প্রজন্ম সম্মানি ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে এবং সম্মান দিতে ভুল করে নাই। তারা যোগ্য সম্মানি ব্যক্তিকে যোগ্য সম্মানজনক স্থানে আসন দিতে সক্ষম হয়েছে। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্য থেকে আরো সম্মানিত ব্যক্তির আগমন ঘটবে এবং যাদের জ্ঞানের আলোয় বিশ্বময় আলোকিত হবে।

বর্তমান বিশ্ব প্রজন্মের আইকন হলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নবনিযুক্ত প্রধান  উপদেষ্টা গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা, নোবেল জয়ী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস। তার নামে সরকারি অর্থে বানানো কর্নার বা সেন্টারের মত নয়, সারা পৃথিবীর ১০৭টি ইউনিভার্সিটিতে ‘ইউনূস সেন্টার’ আছে। ইউনিভার্সিটিগুলো নিজেদের উদ্যোগে এই সেন্টার প্রতিষ্ঠিত করেছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে তার মাইক্রো-ফাইনান্স। যেটা তাকে এবং তার গ্রামীণ ব্যাংককে নোবেল শান্তি পুরস্কার এনে দিয়েছিলো।

ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে কতিপয় চিহ্নিত গোষ্ঠী বারবার ‘সুদখোর’ বলে থাকেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে- মুহাম্মদ ইউনূসকে যারা অপছন্দ করেন তাদের বেশিরভাগও জানেন না, মুহাম্মদ ইউনূসের সুদের ব্যবসা নাই। গ্রামীণ ব্যাংক তার প্রতিষ্ঠিত হলেও গ্রামীণ ব্যাংকে তার এক টাকার মালিকানাও নাই, শেয়ারও নাই। কখনোই ছিলো না।

জিনিসটা আপনার-আমার কাছে আশ্চর্যজনক মনে হতে পারে। কিন্তু এটাই সত্যি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মাইক্রো-ফাইনান্সের ধারণার মূল ভিত্তিই হচ্ছে এটা। এই ব্যবসার কেউ মালিক হতে পারবে না। সম্পূর্ণ নন-প্রফিট তথা অলাভজনক। এটাকে বলে সামাজিক ব্যবসা। নির্দিষ্ট কোনো মালিক নাই। জনগণই এর মালিক।

বাইর থেকে অনুদানের টাকা এনে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নিজে এটি প্রতিষ্ঠা করলেও প্রতিষ্ঠানে তার এক পয়সার মালিকানাও রাখেননি। বরং এর ২৫ শতাংশ মালিকানা সরকারের, বাকি মালিকানা গরীব মানুষের। নিজের প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকে ড মুহাম্মদ ইউনূস মাত্র ৩০০ ডলার বেতনে চাকরি করতেন।

তিনি যে নিজের কোনো শেয়ার রাখেননি তা না, কোম্পানিকে এমনভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন যাতে কেউ এর একক মালিক হতে না পারে। কোম্পানি অধ্যাদেশ ২৮ ধারা অনুযায়ী তিনি এটি রেজিস্ট্রেশন করেন।

শুধু যে গ্রামীন ব্যাংকে তিনি মালিকানা রাখেননি তা কিন্তু না। জর্জ সরোস, টেলিনরদের এনে তিনি গ্রামীণ টেলিকম প্রতিষ্ঠা করেন। তার কথায় টেলিনর বাংলাদেশে আসে। তার কথায় তার বিলিয়নিয়ার বন্ধুরা গরীবদের উন্নতির জন্য ফান্ড দেয়। তিনি গ্রামীন টেলিকম প্রতিষ্ঠা করেন। সেটাও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই। অনেকেই জানেন না গ্রামীন টেলিকমকে নন প্রফিট কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন ড মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানেও তিনি নিজের জন্য ১ শতাংশ মালিকানাও রাখেননি। তিনি চাইলে খুব সহজেই ১০-১৫ শতাংশ মালিকানা নিজের জন্য রেখে দিতে পারতেন। অথচ লাভের এক টাকাও যাতে নিজের কাছে না আসে, সেটা নিশ্চিত করেন তিনি।

তার প্রতিষ্ঠিত সরকার নিয়ন্ত্রিত গ্রামীণ ব্যাংকে এখনো সুদের হার বাংলাদেশে সর্বনিম্ন। অথচ স্বাভাবিকভাবে আপনার মনে হবে গ্রামীন ব্যাংকের মত সুদ বোধহয় কেউ নেয় না। আর নিশ্চয় এই টাকায় প্রফিট করেন ড. ইউনূস।

আসলে আমাদের দেশের মানুষ এসব কল্পনাও করতে পারেন না, একজন মানুষ ব্যবসা করবে অথচ সেখান থেকে নিজে কোনো লাভ করবে না। এমন কথা আমরা ভাবতেই পারিনা। আমরা ভাবতে পারি কেবল টাকা কামানোর কথা।

যেমনভাবে ড মুহাম্মদ ইউনূস বলেন- টাকা কামানোতে আছে সুখশান্তি, অন্যের উপকারে আছে প্রশান্তি। ওনার ভাষায় ‘নিজের জন্য টাকা কামানো হয়তো হ্যাপিনেস, অন্যের উপকার হচ্ছে সুপার হ্যাপিনেস।’
মুহাম্মদ ইউনূস মনে করেন, সবাই এককভাবে সম্পত্তির মালিক হতে থাকলে গরীব আরো গরীব হয়ে যাবে, ধনী আরো ধনী হবে। ফলে বিশ্বব্যবস্থা অচল হয়ে পড়বে। এই বিশ্বাস থেকেই ওনি সব ননপ্রফিট বা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন, নিজের কোনো মালিকানা রাখেননি।

এরকমটা কি আপনি ভাবতে পারেন? আপনি বাংলাদেশের যেকোনো কোম্পানি দেখেন, তাদের সব নিজেদের মালিকানা। কোম্পানির কথা বাদ দেন, এনজিও ব্র্যাক দেখেন। মালিকানা ফজলে হাসান আবেদের পরিবারের। বড় বড় পদে পরিবারের সদস্যরা আছে। কিন্তু মুহাম্মদ ইউনূস সেটা করেননি। তার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিতে নিজের বা পরিবারের কাউকে রাখেননি।
অথচ ড মুহাম্মদ ইউনূস চাইলে এসব ব্যবসায় নিজের মালিকানা রেখে সহজেই বিলিয়নিয়ার হয়ে যেতে পারতেন। তার প্রায় সব বন্ধুবান্ধব বিলিয়নিয়ার, মাল্টি বিলিয়নিয়ার। তিনি সেদিকে যাননি।

অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, তাহলে ড মুহাম্মদ ইউনূসের আয়ের উৎস কী? আমি নিশ্চিত, এটাও অনেকে জানেন না।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস হচ্ছেন পৃথিবীর ওয়ান অব দ্যা হায়েস্ট পেইড স্পিকার। স্পিচ দেয়ার জন্য ওনাকে টাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওনার বক্তব্য শোনার জন্য খরচ করতে হয় ৭৫ হাজার থেকে ১ লাখ ডলারের মতো। কখনো আরো বেশি।
বিশ্বের নামীদামী প্রতিষ্ঠানগুলো তাকে নিয়ে যান তার বক্তব্য শুনতে। তাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনার জন্যও ডাকা হয়। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ফ্রান্সে অনুষ্ঠিতব্য প্যারিস অলিম্পিকের আয়োজক কমিটির ৩ জনের একজন হচ্ছে মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে আরেকজন প্রেসিডেন্ট ম্যাঁখ্রো।

২০২৬ এর ইতালী অলিম্পিকের জন্য ইতালীয়ানরা ওনাকে পাওয়ার জন্য তদবির করছে। যাতে ওনি পরামর্শ দেন।
এদিকে আমরা মনে করি গ্রামীণ ব্যাংক আর গ্রামীণ টেলিকমের মত তার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি থেকে টাকা পান তিনি। যেন গ্রামীণ ব্যাংকের সুদগুলো সরকার খায় না, ড. ইউনূস খায়। এরা কখনো প্রকাশ্যে স্বীকারই করে না যে, এগুলোতে তার ০.০১ শতাংম শেয়ারও নাই।

তিনি বাংলাদেশে একটি বিশ্ববিদ্যালয় করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু অনুমতি পাননি। একটা আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হতো। ওনি বললে পৃথিবীর সেরা সেরা প্রফেসররা সেখানে এসে ক্লাস নিয়ে যেতেন। তিনি ডাকলে এমনকি বিল গেটস কিংবা আমেরিকান প্রেসিডেন্টও তার ইউনিভার্সিটিতে স্পিচ দিতে চলে আসতেন।

ড মুহাম্মদ ইউনূসকে যত জানবেন, আপনার মনে হবে- দেশ এবং জাতি হিসেবে আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ডিজার্ভই করিনা।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একজন শিক্ষক। তিনি ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবর্তক। অধ্যাপক ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে নোবেল পুরস্কার লাভ করে। তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন। ড. ইউনূস বিশ্ব খাদ্য পুরস্কারসহ আরো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন।

মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ জুন চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হাজী দুলা মিয়া সওদাগর, এবং মাতার নাম সুফিয়া খাতুন। মুহাম্মদ ইউনূসের সহধর্মিনী ড. আফরোজী ইউনুস। ব্যক্তিগত জীবনে মুহাম্মদ ইউনূস দুই কন্যার পিতা। মুহাম্মদ ইউনূসের ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং ছোট ভাই মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর একজন জনপ্রিয় টিভি ব্যক্তিত্ব।

তার প্রথম বিদ্যালয় মহাজন ফকিরের স্কুল। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় মুহাম্মদ ইউনূস মেধা তালিকায় ১৬তম স্থান অধিকার করেন এবং চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তিনি সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেন। কলেজে তিনি নাটকে অভিনয় করে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা এবং আজাদী পত্রিকায় কলাম লেখার কাজে যুক্ত ছিলেন। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি বয়েজ স্কাউটস এ যোগ দেন এবং বয়েজ স্কাউটসের পক্ষ থেকে মাত্র ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন।

১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই বিএ এবং এমএ সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ব্যুরো অব ইকোনমিক্স -এ গবেষণা সহকারী হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তীকালে ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রাম কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে ভেন্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ইউনূস বাংলাদেশে ফিরে আসার আগে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের পক্ষে বিদেশে জনমত গড়ে তোলা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা প্রদানের জন্য সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে দেশে ফিরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন এবং ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এ পদে কর্মরত ছিলেন।

১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশে সংঘটিত দুর্ভিক্ষের সময় ড. ইউনুস দারিদ্র্যতার বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম শুরু করেন। তিনি বুঝতে পারেন স্বল্প পরিমাণে ঋণ দরিদ্র মানুষের জীবন মান উন্নয়নে অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। সেই সময়ে তিনি গবেষণার লক্ষ্যে গ্রামীণ অর্থনৈতিক প্রকল্প চালু করেন। ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে মুহাম্মদ ইউনুস তেভাগা খামার প্রতিষ্ঠা করেন যা সরকার প্যাকেজ প্রোগ্রামের আওতায় অধিগ্রহণ করে।

১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে অসচ্ছল বাংলাদেশিদের মধ্যে ঋণ বিতরণের জন্য তিনি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। তখন থেকে গ্রামীণ ব্যাংক ৫.৩ মিলিয়ন ঋণগ্রহীতার মধ্যে ৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেয়। ঋণের টাকা ফেরত নিশ্চিত করার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক ‘সংহতি দল’ পদ্ধতি ব্যবহার করে। একটি অনানুষ্ঠানিক ছোট দল একত্রে ঋণের জন্য আবেদন করে এবং এর সদস্যবৃন্দ একে অন্যের জামিনদার হিসেবে থাকে এবং একে অন্যের উন্নয়নে সাহায্য করে। ব্যাংকের পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অসচ্ছলদের রক্ষায় অন্যান্য পদ্ধতিও প্রয়োগ করে। ক্ষুদ্রঋণের সঙ্গে যোগ হয় গৃহঋণ, মৎস খামাড় এবং সেচ ঋণ প্রকল্পসহ অন্যান্য ব্যাংকিং ব্যবস্থা। গরিবের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্য উন্নত বিশ্ব এমন কি যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য শিল্পোন্নত দেশসমূহকে গ্রামীণের এই মডেল ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করে।

ড. ইউনূস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪৮টি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। শান্তিতে নোবেলজয়ী গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডাল গ্রহণ করেছেন। দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে এই সম্মাননা দেয়া হয় ড. ইউনূসকে, যিনি এই পদক পাওয়া প্রথম বাংলাদেশি।

২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে ৫ মে জাতিসংঘ ভবনে  বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্পদশালী দুই শতাধিক ব্যক্তির সম্মেলনে নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। জাতিসংঘে বিশ্বের সম্পদশালী ব্যক্তিদের এ সমাবেশের আয়োজন করে বিশ্ববিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন। একজন সামাজিক উদ্যোক্তা হিসেবে ড. ইউনূসকে এ ‘আজীবন সম্মাননা পুরস্কার’ দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ  ইউনূস গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে  শপথ গ্রহণ করেন এবং তার নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করে।
লেখকঃ অধ্যক্ষ ও কলামিস্ট  

 

মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! - dainik shiksha মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! অ্যাডহক কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha অ্যাডহক কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সোহরাওয়ার্দী কলেজ যেনো ধ্বং*সস্তূপ - dainik shiksha সোহরাওয়ার্দী কলেজ যেনো ধ্বং*সস্তূপ জোরপূর্বক পদত্যাগে করানো সেই শিক্ষকের জানাজায় মানুষের ঢল - dainik shiksha জোরপূর্বক পদত্যাগে করানো সেই শিক্ষকের জানাজায় মানুষের ঢল শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি সারানোর এখনই সময় - dainik shiksha শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি সারানোর এখনই সময় কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0090968608856201