ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব ড. আ স ম শোয়াইব আহমাদের বিদেহী আত্নার শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদে উপস্থিত মুসুল্লিদের অংশগ্রহণে দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
এর আগে গত ৬ জুন মাগুড়ার সন্নিকটে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন ড. শোয়াইব। পরে পাঁচ দিন আইসিইউতে থাকার পর গত ১০ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার কল্যাণপুর ইবনে সিনা হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী। এ সময় উপস্থিতি ছিলেন বিভাগটির সভাপতি অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দিন মিঝি, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শেখ এ বি এম জাকির হোসেন, আল-ফিকহ এ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন আজহারী, সহকারী প্রক্টর শরিফুল ইসলাম জুয়েল, কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন খান ও ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী মাদরাসাতুস সুন্নাহর পরিচালক ইমরান হোসাইন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ উপস্থিত মুসল্লিরা দোয়া ও মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী বলেন, ড. শোয়াইব আহমাদ ধর্মতত্ত্বের ভর্তি পরীক্ষায় ৪৫ তম হয়েছিলেন। তিনি সারাজীবন ইসলামের জন্য খেদমত করে গেছেন। তার বিদায় মানে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের বিদায়। এত অল্প বয়সে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন এটা আমাদের কল্পনার বাইরে ছিলো। আমাদের সবাইকে একদিন এভাবেই চলে যেতে হবে। চলে যাওয়ার দিনটির জন্য আমাদের সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত, ড. শোয়াইব আহমাদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। পরবর্তীতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম হিসেবে যোগদান করেন। দীর্ঘ ২৬ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রয়াত অধ্যাপক ও বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ড. খোন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীরের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন তিনি। ইমামতির পাশাপাশি তিনি আস-সুন্নাহ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া ধর্ম প্রচার, অর্থসহ আল কোরআন ও সালাত শিক্ষা, হিফযুল কোরআন কোর্স, ইংরেজি ও আরবি ভাষা শিক্ষা কোর্স পরিচালনাসহ তিনি বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।