রাজধানীতে ১৪তম কাকে আন্তর্জাতিক জাপানি ভাষা বক্তৃতার আঞ্চলিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বোরবার রাজধানীর কলাবাগানের মেইজি এডুকেশনের প্রধান কার্যালয়ে জাপান-বাংলাদেশ দূতাবাস ও জাপানের কাকে এডুকেশনাল ইন্সটিটিউটের যৌথ পৃষ্ঠপোষকতায় ওই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন ঢাকাস্থ জাপানি দূতাবাসের জনসংযোগ ও সাংস্কৃতিক বিভাগের উপপ্রধান এবং দ্বিতীয় সচিব মি. ইয়ামামোতো কিয়োহেই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইয়ামামোতো বলেন, জাপানি ভাষা বা যেকোনো ভাষা হলো একটি যন্ত্র। এটা নিয়ে শুধু কাজ করবে শুধু তা নয়, ভাষার পাশাপাশি নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে। সেটি প্রকৌশলগত দক্ষতা হতে পারে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কাকে এডুকেশনাল ইন্সটিটিউটের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের মহাপরিচালক ফুমিৎসুগু ওৎসুকি বলেন, ওখাইয়ামা সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং চিবা ইন্সটিটিউটে বাংলাদেশের ২০ জন ছাত্র পড়াশোনা করছে। তারা সবাই অনেক মেধাবী এবং পরিশ্রমী, অদূর ভবিষ্যতে তারা বাংলাদেশ এবং জাপানের উন্নয়নে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে।
এর আগে শুভেচ্ছা বক্তব্যে মেইজি এডুকেশনের চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, তরুণরা আমাদের ভবিষ্যৎ, তাদেরকে সঠিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ দিয়ে গড়ে তুললে তারা ভবিষ্যতের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব রেখে যাবে। তাই তাদেরকে নাগরিক কর্তব্যের মতো কাজের সাঙ্গে তাদের যুক্ত করতে হবে। এমন আঞ্চলিক ভাষা প্রতিযগিতার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের যুব সমাজকে জাপানের শ্রম বাজার এর জন্য দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের বেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি মনে করেন।
অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাসাইউকি অসেতো, পরিচালক সাউথ এশিয়ান বিষয়ক, জেআই এইচডিও, মাকোতো আড়িতোমো, জেনারেল ম্যানেজার, জেআইএইচডিও, ইতারো নিশিকাওয়া, প্রতিনিধি, এইযোগাক্কান ওখাইয়ামা স্কুল, জাপানিজ ভাষা বিভাগ। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেইজি এডুকেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।