যান চলাচলের জন্য সেপ্টেম্বর মাসে খুলবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উড়াল পথের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ উদ্বোধন করবেন। এক্সপ্রেসওয়েতে তিন চাকার যানবাহন ও মোটরসাইকেল চলতে পারবে না। শনিবার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনের আগে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে বিদ্যমান রেললাইনের পাশ দিয়ে এবং উপর দিয়ে বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর হয়ে চিটাগং রোডের কুতুবখালী পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি)। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির উঠানামায় ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ ২৭টি র্যাম্প থাকছে।
১৩ হাজার ৮৫৭ কোটি ব্যয়ে নির্মাণাধীন এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে ইটাল-থাই, চীনা প্রতিষ্ঠান শেয়ডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনোমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল গ্রুপ এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন ৬ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে অনুমোদিত এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ তিন ধাপে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা ছিল।
ওবায়দুল কাদের জানান, অতীতে নানা কারণে বিলম্ব হলেও আর বাধা নেই। প্রথম ধাপের বিমানবন্দর থেকে বনানী অংশের কাজ ৯৭ শতাংশ এগিয়েছে। দ্বিতীয়ধাপের বনানী থেকে মগবাজার অংশের কাজ এগিয়েছে ৫৪ শতাংশ। মগবাজার থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত ভৌত কাজে অগ্রগতি হয়েছে ৯ শতাংশ। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৩ ভাগ।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিমানবন্দর থেকে বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত যান চলাচলের জন্য এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় পাওয়া সাপেক্ষে উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক হবে।
হাতিরঝিলের ওপর দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প নির্মাণে রাজউকের আপত্তি রয়েছে। পান্থকুঞ্জের ওপর দিয়ে র্যাম্প নির্মাণের বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশন। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হাতিরঝিলের অংশ নিয়ে সংশোধনী প্রস্তাব রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিষয়টি দেখছেন, নিষ্পত্তি তিনিই করবেন।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেছেন, গাজীপুর থেকে কাওলা হয়ে যানবাহন এক্সপ্রেসওয়েতে উঠবে। এরপর এই গাড়ি কুতুবখালীতে গিয়ে নামবে। ফলে ঢাকা শহরের যানজট কমবে।
তিনি বলেন, ঢাকা আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে বিমানবন্দরের সামনে নির্মাণাধীন এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যোগ হবে। ঢাকার চারদিকে বৃত্তাকার সড়ক (সার্কুলার রুট) নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারই দেশের প্রথম টানেল, মেট্রোরেল, মেট্রোরেল নির্মাণ করছে। ক্ষমতায় ফিরলে সার্কুলার রুটও করবে।