১৭ মার্চ বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের এইদিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে সম্ভ্রান্ত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ। শিশুদের জন্য নিবেদিত এ অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করছেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির নৃত্য বিভাগের খুদে শিক্ষার্থী জুওয়ানা মোস্তাফিজ। অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধান ছিলেন ঢাকার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান এবং ঢাকা মহানগরের সাবেক কামান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের ঢাকার উপপরিচালক মো. আবু জাফর রিপন, জেলা পর্যায়ের অন্যান্য কর্মকর্তা, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ বলেন, শিশুদের জন্য বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে আগামী দিনের শিশুদের জন্য বিনির্মাণ করছেন। তিনি শিশুদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর সুমহান আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকার ডিসি মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্ব ছিলো পর্বতের মতো বিশাল, কিন্তু তাঁর হৃদয় ছিল শিশুদের মতোই কোমল। শিশুদের জন্য বঙ্গবন্ধুর ভাণোবাসা ছিল অপরিসীম। তিনি শিশুদের আগামী দিনের যোগ্য নেতৃত্বের জন্য গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। তারই অংশ হিসেবে আজকের অনুষ্ঠানে সভাপতি করা হয়েছে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির নৃত্য বিভাগের শিক্ষার্থী জুওয়ানা মোস্তাফিজকে, যার বয়স মাত্র ৯ বছর।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে শিশুদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটা হয়। পরে জাতীয় শিশু একাডেমির শিশুদের অংশগ্রহণে এবং জাতীয় শিশু একাডেমির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় একটি মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।