দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সোমবার সকাল থেকেই তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। এদিন সকাল থেকেই চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যানবাহন বাড়ার পাশাপাশি কয়েকটি জায়গায় থেমে থেমে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকা থেকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কে জিরানী বাজার এলাকা ও চন্দ্রা থেকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী বাজার এলাকা পর্যন্ত ও চন্দ্রা থেকে যমুনা সেতুগামী গোড়াই পর্যন্ত এ দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঈদে ঘরমুখো হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
সিরাজগঞ্জগামী তরিকুল ইসলাম, জুয়েল রানা, স্বপন মিয়া বলেন, গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকা থেকে বাসে উঠেছি। চন্দ্রা আসতে সময় লেগেছে প্রায় দুই ঘণ্টা। অথচ চৌরাস্তা থেকে চন্দ্রা আসতে সময় লাগে ৩০-৪০মিনিট।
এদিকে সোমবার দুপুরের পর থেকে গাজীপুর, কালিয়াকৈর, সাভার আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলের বেশিরভাগ শিল্প-প্রতিষ্ঠান সকাল থেকেই ছুটি হওয়াতে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, যাত্রীর তুলনায় পরিবহন নেই বললেই চলে। ফলে চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে খাড়াজোড়া প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা যায়। অনেকে আবার খোলা ট্রাকে করে বাড়ির পথ ধরেছেন।
রংপুরগামী ফরিদা বেগম বলেন, দুপুর পৌনে বারোটা থেকে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। এখন সোয়া একটা বাজে। কিন্তু কোন বাস পাচ্ছি না।
গাইবান্ধাগামী আব্দুস কদ্দুস বলেন, বাস কাউন্টাররা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। গাইবান্ধা যেতে আগে লাগত ৫শ টাকা এখন ঈদ উপলক্ষে নেয়া হচ্ছে ১ হাজার টাকা।
নাওজোড় হাইওয়ে ওসি মো. শাহাদত হোসেন বলেন, দুপুরের পর থেকে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকাড যাত্রীদের ঢল পড়েছে। যানবাহনের চাপ বেড়েই চলছে। বিকেল দুইটার পর চন্দ্রাস্থ মুখস্থলে গাজীপুর থেকে আসা ও আশুলিয়া থেকে আসা যানাবাহনগুলো দুই লেন দিয়ে একত্রে যেতে না পারায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এই যানজট দ্রুত নিরশন করে ঈদে ঘরমুখো মানুষের স্বাচ্ছন্দে বাড়ি ফিরতে দুই শতাধিক পুলিশ কাজ করছেন।