গ্রাহকরা এখন বিকাশ অ্যাপ থেকেই ঢাকা ব্যাংকের ডিপিএস সেবার পাশাপাশি ইসলামিক ডিপিএস সেবাও নিতে পারছেন যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকেই। এর মাধ্যমে বিকাশ গ্রাহকদের জন্য চারটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিপিএস সেবার পাশাপাশি দুটি ব্যাংকের শরিয়াহ ভিত্তিক ইসলামিক ডিপিএস সেবাও নেয়ার সুযোগ তৈরি হলো।
উল্লেখ্য, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে দেশের বৃহত্তম এমএফএস প্রতিষ্ঠান বিকাশ তার প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাসিক ডিপিএস সেবা নিয়ে আসে। পর্যায়ক্রমে ইসলামিক ডিপিএস সেবা ও সাপ্তাহিক ডিপিএস সেবাও চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। এখন পর্যন্ত গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে এই চারটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৩০ লাখের বেশি মাসিক ও সাপ্তাহিক ডিপিএস খুলেছেন।
বিকাশ অ্যাপ দিয়ে কাগজপত্র বা ফর্ম পূরণের ঝামেলা ছাড়াই মাত্র কয়েক মিনিটে সহজ কয়েকটি ধাপে বিভিন্ন মেয়াদ ও অংকের ইসলামিক ডিপিএস সেবা নেয়া যায়। ঢাকা ব্যাংকের ইসলামিক ডিপিএস সঞ্চয় সেবা চালু করার জন্য অ্যাপের হোম স্ক্রিন থেকে ‘সেভিংস’ আইকনে যেয়ে ‘নতুন সেভিংস খুলুন’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর ‘ইসলামিক ডিপিএস’-এ ট্যাপ করে মেয়াদ, জমার ধরন ও পরিমাণ নির্বাচন করতে হবে। মাসিক ৫০০, ১ হাজার, ২ হাজার, ২.৫ হাজার, ৩ হাজার, ৫ হাজার এবং ১০ হাজার টাকা কিস্তিতে সর্বনিম্ন এক বছর থেকে সর্বোচ্চ চার বছর মেয়াদে সঞ্চয় স্কিম থেকে নিজের পছন্দমতো সঞ্চয় করতে পারবেন গ্রাহক। সঞ্চয়ের মেয়াদ পূরণ হওয়ার পর গ্রাহকরা মুনাফাসহ পুরো টাকা বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ক্যাশ আউট করতে পারবেন কোনো খরচ ছাড়াই।
প্রতি মাসের নির্ধারিত তারিখে বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে সঞ্চয়ের কিস্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঢাকা ব্যাংকের ইসলামিক অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে যাবে। তাই, নির্ধারিত তারিখের আগেই প্রয়োজনীয় টাকা বিকাশ অ্যাকাউন্টে রাখার জন্য এসএমএস দিয়ে স্মরণ করিয়ে দেয়া হবে গ্রাহককে। এছাড়া গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ থেকে জমার পরিমাণ, সঞ্চয়ের সময়কাল, মুনাফার পরিমাণ সরাসরি দেখতে পারবেন যেকোনো সময়।
ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তা ও পরিকল্পনা বিবেচনায় প্রতি মাসে কিছু সঞ্চয় করার জন্য এখন নির্দিষ্ট সময়ে ব্যাংকে গিয়ে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার ঝামেলা নেই। ফলে ব্যাংকিং সেবার ভেতরে এবং বাইরে থাকা বিশাল জনগোষ্ঠী সহজেই ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিক সঞ্চয় সেবা নিতে পারছেন, যা সার্বিকভাবে গ্রাহকদের সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করছে এবং অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে।
বিকাশ অ্যাপ থেকে সেবাটি গ্রহণ করতে ডিজিটাল নিবন্ধনের মাধ্যমে গ্রাহকের তথ্য হালনাগাদ থাকতে হবে। অ্যাপ থেকেই যেকোনো সময় তথ্য হালনাগাদের সুযোগ রয়েছে।