পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে ঘাপটি মেরে থাকা বিএনপি-জামাতপন্থী শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যবই নিয়ে ষড়যন্ত্রে সফল হয়েছেন। ঝোপ বুঝে কোপ মারার লক্ষ্য নিয়ে আরো কয়েকজন জামাতপন্থী কর্মকর্তা বসে আছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে। বিগত বিএনপি-জামাত জমানায় ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে দাপটের সঙ্গে চাকরি করা এক কর্মকর্তা নানা কৌশল আর কাড়িকাড়ি টাকা খরচ করে গত বছর ফের ঢাকা বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ পদে এসেছেন। তিনি সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সরকারি পিএস ছিলেন। সেনগুপ্তের দীর্ঘদিনের এক এপিএস জঙ্গী সংশ্লিষ্টতায় গ্রেফতার হয়ে দুইমাস ধরে কারাগারে আছেন। সুরঞ্জিতের সাবেক পিএস (শিক্ষা ক্যাডার) যে কৌশলে তদবির করে গতবছর ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ পদে এসেছেন ঠিক একইভাবে টংগী সরকারি কলেজ থেকে একজন কর্মকর্তা ঢাকা বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসার সব রিহার্সেল শেষ করেছেন। যেকোনো সময় আদেশ জারি হতে পারে। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বদলিভিত্তিক পদায়ন পেতে যাওয়া এই কর্মকর্তা সম্পর্কে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার রয়েছে ঘোর আপত্তি। তিনি শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন যে, ঢাকা বোর্ডের পদ প্রত্যাশী এই কর্মকর্তা কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন এবং চাকরিজীবনে বিএনপি-জামাত আমলে সর্বোচ্চ সুবিধা নিয়েছেন। শিক্ষাখাতে লুটপাট ও শিক্ষা ক্যাডারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক বাড়ৈপন্থী হিসেবে পরিচিত তিনি।
জানা যায়, নির্বাচনের বছরে শিক্ষাখাতে সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে শিক্ষা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে জামাতপন্থী কর্মকর্তাদের পদায়নের বিরোধীতা করছেন আওয়ামী লীগপন্থী হিসেবে পরিচিত একাধিক শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা।