ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ হামলায় ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি ছাত্রদলের।
গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বহির্বিভাগের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ছাত্রদলের অভিযোগ ঢাবি ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের নির্দেশে এই হামলা হয়েছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তানভীর হাসান সৈকত, সেই সঙ্গে তাঁর দাবি ছাত্রদল ঢাবি ক্যাম্পাসে লাশ ফেলানোর পরিকল্পনা করছে।
ছাত্রদল বলছে, এ হামলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক মানসুরা আলম, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের কর্মী আব্দুল্লাহেল কাফি। আহতরা প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে এবং পরে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
আহতদের মধ্যে মানসুরা বেগম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হামলার বিষয়ে একটি পোস্ট দেন৷ তিনি অভিযোগ করে লেখেন, ইমাম হাসান ইফতারের পর বহির্বিভাগে এসে আমাদের আক্রমণ করেছেন। এ সময় গালিগালাজও করা হয়।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, আমরা ইফতারের পর মেডিক্যালের বহির্বিভাগের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলাম। হুট করে তারা মোটরসাইকেলে এসে কোনো কথাবার্তা ছাড়াই অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের ৫ জন আহত হয়। তারা যে কয়জনকে মেরেছে শুধু মাথার দিকে টার্গেট করে মেরেছে। আমরা মেডিক্যালের ভেতরে ঢুকেছি, সেখানে ঢুকেও মেরেছে। তারা সবাই সৈকতের অনুসারী।
ছাত্রদলের দাবি এ হামলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ, সাবেক সহ-সম্পাদক ইমাম হাসান, সাবেক মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহীন, মুহসীন হল ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান জড়িত।
ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল বলেন, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তারা হামলা করেছে। ছাত্রলীগ এখন আর ছাত্রসংগঠন নেই, ছাত্রলীগ এখন সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে৷ এই হামলা সেটাই প্রমাণ করে। আমরা এর বিচার চাই।
এদিকে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা জানতে পেরেছি লন্ডন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে লাশ ফেলার নির্দেশ আসছে। ইদানীং আমরা লক্ষ্য করছি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মারমুখী আচরণ করছে। ইফতারের পর কয়েকজন ছাত্রের ওপর ছাত্রদল চড়াও হয়। এরপর হলের শিক্ষার্থী এবং আমাদের কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী তাদের প্রতিহত করেছে।