বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর শিক্ষা প্রশাসনসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদগুলো শূন্য হয়ে পড়েছে। স্থবিরতা বিরাজ করছে শিক্ষাঙ্গনে। এরই প্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।
ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সম্মতি দিয়েছেন বলেও ওই সূত্র জানিয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন শিক্ষা সচিব শেখ আব্দুর রশীদ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান পড়া নিয়াজ আহমেদ খান হবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর সর্বস্তরের সংস্কারের দাবির মধ্যে সরকারি-বেসরকারি অধিকাংশ দপ্তরের শীর্ষপদে পরিবর্তন আসে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া অন্য উপাচার্যদের মতো অধ্যাপক মাকসুদ কামালকেও সরে যেতে হয়।
নতুন উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ জন্মগ্রহণ করেছেন ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করার পর তিনি ইন্সটিটিউট অব পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট থেকে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা করেন। তারপর যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলস থেকে পিএইচডি ডিগ্রি পান।
অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বেসরকারি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) উপ–উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এর আগে গত ১০ আগস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল পদত্যাগ করেন। পদত্যাগপত্রে ‘ব্যক্তিগত কারণের’ কথা বলেছেন ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের এই অধ্যাপক। গত বছরের ১৫ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ পাওয়ার পর ৪ নভেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন মাকসুদ কামাল।