স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা নিশ্চিতে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি বা প্লেজারিজম নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। গবেষণাতে কপি-পেস্ট, চুরি, নকল বা সামঞ্জস্যতা মাত্রা অনুযায়ী সংশোধনের সুযোগ দেয়া সাপেক্ষে জরিমানা, ডিগ্রি বাতিল ও পদাবনতি, এমনকি সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে চাকরিচ্যুতির বিধান রাখা হয়েছে এ নীতিমালায়।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের (সিন্ডিকেট) এক সভায় এ নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়।
রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বার্তায় ‘দ্য রুলস ফর দ্য প্রিভেনশন অব প্লেজারিজম’ শীর্ষক নীতিমালাটি চূড়ান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
নীতিমালায় গবেষণায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত সামঞ্জস্যকে ‘গ্রহণযোগ্য’ (লেভেল-০) বলা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে একক উৎস থেকে সর্বোচ্চ ২ শতাংশের বেশি তথ্য ব্যবহার করা যাবে না। এর বেশি মাত্রার সামঞ্জস্যের জন্য জরিমানা, পদাবনতি, ডিগ্রি বাতিল থেকে চাকরিচ্যুতির মতো শাস্তির মুখে পড়তে হবে দায়ী ব্যক্তিদের।
জানা গেছে, নীতিমালায় অন্য মাত্রাগুলো হলো, নিম্ন (লেভেল-১), মধ্য (লেভেল-২), উচ্চ (লেভেল-৩) ও পুনরাবৃত্তি (লেভেল-৪)। গবেষণায় ২০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত সামঞ্জস্য নিম্ন, ৪০-৬০ শতাংশ মধ্য এবং ৬০ শতাংশের বেশি সামঞ্জস্য উচ্চমাত্রার সামঞ্জস্য হিসেবে গণ্য হবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ‘দ্য রুলস ফর দ্য প্রিভেনশন অব প্লেজারিজম’ শীর্ষক নীতিমালাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদের (একাডেমিক কাউন্সিল) সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর সেটি ডিনস কমিটির মিটিংয়ে উত্থাপন করার পর গতকাল মঙ্গলবারের সিন্ডিকেট সভায় চূড়ান্ত করা হয়।
গবেষণায় কপি পেস্ট, চুরি বা নকল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন। বলা হচ্ছে, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির এক সুপারিশের আলোকে এ নীতিমালা করা হয়েছে।