আসন সংকট নিরসনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হলে ৩০০ আবাসিক ছাত্রীকে অন্য হলে এক মাসের মধ্যে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে হলের আসন সংখ্যার সঙ্গে সমন্বয় রেখে শিক্ষার্থী অ্যালোটমেন্ট দেয়া ও একটি কক্ষ ছয়জনের বেশি শিক্ষার্থীকে বরাদ্দ না দেয়ার দাবি জানিয়েছে।
রোববারঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হলেন আসন সংকটের বিষয়টি তুলে ধরে এসব দাবি জানান তারা। দাবি আদায়ে আগামীকাল সোমবার দুপুরে ভিসি চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, এসব দাবি জানিয়ে তারা ইতোমধ্যে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাদের দাবির পক্ষে হলের ১০৫ জন শিক্ষার্থীরা স্বাক্ষরও তারা সংগ্রহ করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, কুয়েত-মৈত্রী হলে আসনের তুলনায় প্রতি বছর অধিক ছাত্রীকে অ্যালোটমেন্ট দেয়া হয়। অন্যান্য হলে ৬ মাসের মধ্যে বৈধ আসন পেলেও মৈত্রী হলে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রীরা চতুর্থ বর্ষে উঠেও এখন পর্যন্ত আসন পাচ্ছেন না।
তারা আরো দাবি করেন, হলের মূল ভবনে ৫টি অতিথি কক্ষে চাপাচাপি করে ১০০ শিক্ষার্থী বার্ষিক ৪ হাজার টাকা দিয়ে অবস্থান করেন। অথচ তাদের জন্য মাত্র ৩টি ওয়াশরুম রয়েছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষিত সিকদার মনোয়ারা ভবনের তিন তলার ১৫টি অতিথি কক্ষ রয়েছে, যেখানে ১১০ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। তাদের জন্য ২টি ওয়াশরুম আছে। আর দোতলায় ২৪ শিক্ষার্থীর জন্য একটি ওয়াশরুম রয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, আমি তাদের সঙ্গে কথা বলে হল ভিজিট করে এসেছি। তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক। আগামী বছর থেকে হলে আসন কমিয়ে দিতে হবে। আমাদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে যা কিছু করা যায়, তা করবো। ইতোমধ্যেই প্রধান প্রকৌশলীকে বলে দিয়েছি।