দৈনিক শিক্ষাডটকম, ঢাবি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত কর্মচারীর নাম শাবাব আল শায়েরী। তিনি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের লাইব্রেরিতে কর্মরত (উচ্চমান সহকারী) রয়েছেন।
গত রোববার দুপুরে ২৪৪ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সম্বলিত একটি অভিযোগপত্র ইনস্টিটিউটের পরিচালক, গ্রিভেন্স কমিটির আহ্বায়ক এবং লাইব্রেরিয়ানের কাছে জমা দেয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মাহমুদ-উল হাসান বলেন, গত ২১ মার্চ ইন্টার্নশিপের ড্রাফট জমা দেয়ার দিন আমি প্লেজারিজম চেকের ফরম নিতে কয়েকজন বন্ধুসহ লাইব্রেরিতে যাই। আমি ও রুহুল (বন্ধু) একসাথে শাবাব আল শায়েরীর কাছে যাই। আরেক বন্ধুর ফরম দেখে আমার ফরমটি পূরণ করি। আমাদের রিপোর্টগুলো বাংলায় লিখিত হওয়ায় এবং লাইব্রেরিতে বাংলা প্লেজারিজম চেকের ব্যবস্থা না থাকায় রাফিউলের ফরমে ‘বাংলা চেকের ব্যবস্থা নেই’ এমন শব্দগুচ্ছ লিখিত ছিল। এটি যে অফিস কর্তৃক পূরণ করা হবে তা লক্ষ্য না করে আমি আমার ফরমের অন্যান্য তথ্যের সাথে এই শব্দগুচ্ছ লিখে ফেলি। ফরমটি জমা দেয়ার সময় আমি কেন এটি লিখলাম, তার সূত্র ধরে তিনি আমার সাথে অসদাচরণ করেন।
মাহমুদ বলেন, তিনি (শাবাব আল শায়েরী) আমার সাথে অকথ্য ভাষায় উচ্চবাচ্য করতে থাকেন। শুধু আমি না, নিয়োগের পর থেকে এখন পর্যন্ত অনেক শিক্ষার্থী ও কর্মচারীর সাথেই তিনি এমন করেছেন। থিসিসের রিপোর্ট সংক্রান্ত কাজে গিয়ে বিগত ৩-৪ দিনে অনেক সহপাঠীই এমন দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন। আগে একাধিকবার বেশ কজন শিক্ষার্থী তাকে এই আচরণের বিষয়ে সতর্ক করলেও তিনি অসদাচরণ অব্যাহত রাখেন।
মাহমুদ আরো বলেন, এসব ঘটনায় এর আগে একটি অভিযোগ করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আজকে ২৪৪ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর নিয়ে, আরো যারা ভুক্তভোগী তাদের বক্তব্যের স্ক্রিনশট সংযুক্ত করে ইনস্টিটিউটের পরিচালক, গ্রিভেন্স কমিটির আহ্বায়ক ও আইইআর’র লাইব্রেরিয়ান বরারব দাখিল করেছি। পরে প্রক্টর ও প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অফিসে অভিযোগের একটি অনুলিপি জমা দিব।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মচারীর উপযুক্ত বিচারের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা তিনটি দাবি জানান। দাবিগুলো হলো ১. অভিযুক্ত কর্মচারীকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করার মধ্য দিয়ে লাইব্রেরির সব ধরনের কার্যক্রম থেকে অবিলম্বে অব্যাহতি দেয়া; ২. লাইব্রেরির উপযোগিতা ও পরিবেশ রক্ষার্থে এমন কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারী যেন ভবিষ্যতে নিয়োগ না পেতে পারে সে বিষয়ে নজরদারির ব্যবস্থা করা; এবং ৩. শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার পরিবেশকে সমুন্নত রাখতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মধ্যে সুদৃঢ় সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
এদিকে অভিযোগের ব্যাপারে জানতে শাবাব আল শায়েরীকে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি। একইভাবে সাড়া পাওয়া যায়নি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল হালিমেরও।