ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ও দৈনিক বণিক বার্তার যৌথ আয়োজনে ক্যাম্পাসে চলছে ৭ম নন-ফিকশন বইমেলা। তবে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় তেমন জমেনি এবারের বইমেলা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ প্রাঙ্গণে গত মঙ্গলবার মেলার উদ্বোধন করেন উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। মেলাটি চলবে আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত।
এ বছর মেলায় অংশ নিয়েছে মোট ৪১টি প্রকাশনা ও গবেষণা সংস্থা। তার মধ্যে অনন্যা, অনিন্দ্য প্রকাশ, অনুপম প্রকাশনী, অন্যপ্রকাশ, ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, ঐতিহ্য, কথাপ্রকাশ, কাকলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা সংস্থা, তাম্রলিপি, দিব্যপ্রকাশ, পাঠক সমাবেশ, প্রথমা প্রকাশন, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বাতিঘর, বাঙ্গালা গবেষণা, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট, ভাষাচিত্র, মাওলা ব্রাদার্স অন্যতম।
শিক্ষার্থীদের মাঝে বইয়ের আনন্দ ছড়িয়ে দিতেই এমন আয়োজন বলে জানিয়েছেন আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত বণিক বার্তার প্রতিবেদক আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, গত ৬ বছরের ধারাবাহিকতায় আমাদের এবারের আয়োজন। শিক্ষার্থীদের মাঝে বইয়ের আনন্দ ছড়িয়ে দিতেই এ প্রচেষ্টা।
মেলায় এসে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন দর্শনার্থীরা। তারা বলছেন, সমাজের চিন্তার বিকাশ ও জাগরণের ক্ষেত্রে মেলাটি ভূমিকা রাখবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী শাহেদ দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, এরকম বইমেলা দেশের পাঠকদের জন্য আশার আলো জাগানিয়া। বিভিন্ন তথ্যমূলক সব বইয়ের সমরোহ দেখে আমি আনন্দিত।
মেলায় আসা মার্কিন যুক্তরাজ্যের নাগরিক জো বার্ডোর সাথে কথা হয় আমাদের বার্তার। তিনি বলেন, বই পড়া আমার জন্য নেশার মতো। এরকম নন-ফিকশন বইমেলা আমাকে এই দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. শামীম রেজা বলেন, নন-ফিকশন ক্যাটাগরির মধ্যে গবেষণার পাশাপাশি অনুবাদের মতো নতুন নতুন বই দেখতে পেলাম। বই বিক্রিতে প্রযুক্তি ও ইন্টারঅ্যাকটিভ মিডিয়া ব্যবহারের পরামর্শও দেন তিনি।
বইমেলায় আশানুরূপ বিক্রি দেখছেন না প্রকাশকরা। বাতিঘর প্রকাশনীর দোকানি পলাশ ঘোষ জানান, এরকম বই মেলায় জাতীয় বইমেলার মতো বিক্রির আশা করা যায় না। তবুও গত বছরের তুলনায় এবারের বিক্রির পরিমাণ তুলনামূলক কম।
শীতকালীন ছুটি ও নির্বাচনকালীন সহিংসতার আশঙ্কায় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। তাই মেলায় পাঠকদের উপস্থিতি সেভাবে নেই। বিক্রি কম হলেও হলেও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এরকম বইমেলায় অংশগ্রহণ করেছেন বলেও জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান হবে। এতে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও ঢাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।