দৈনিক শিক্ষাডটকম, ঢাবি প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীকে রুমে ডেকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠে। তবে এ অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেছেন অভিযুক্ত অধ্যাপক। অধ্যাপক নুরুলের দাবি ওই ছাত্রীকে তিনি চেনেন না।
সোমবার এক লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই দাবি করেছেন তিনি।
এতে তিনি বলেন, গত ২৮ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত একাডেমিক উদ্দেশে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানকালে একটি স্বার্থন্বেষী মহল আমার ব্যক্তিগত অবস্থান বিনষ্ট ও দখলের উদ্দেশে মিথ্যা অপবাদ ও কুৎসা রটনার মাধ্যমে জাতির কাছে হেয় প্রতিপন্ন করেছে।
তিনি দাবি করেন, গত ২৮ নভেম্বর থেকে ২ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বাইরে অবস্থান করা এবং ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক টানা কর্মব্যস্ততায় সাংবাদিক বন্ধুরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ পাননি। একটি মহল এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাংবাদিক বন্ধুদেরকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করেছে। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। অসত্য অভিযোগ দিয়ে এদেশের শিক্ষার বাতিঘর সম্মানিত শিক্ষকগণকে যেনো হেনস্তার শিকার হতে না হয়, সে ব্যাপার সাংবাদিকরা সৎ, নিরেপক্ষ ও সাহসী ভূমিকা রাখবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমের কাছে দাবি করেন, শিক্ষার্থীরা নম্বর পাওয়ার জন্য অনেক কিছুই করে। এরআগেও এমনটা ঘটেছে। কিন্তু অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। আমার ইনিস্টিউটের কয়েকজন শিক্ষকই এমনটা করছে। তাছাড়া অভিযোগকারী এই মেয়েকে আমি চিনিও না জানিও না। আমি যেই দিন ইন্ডিয়ার উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেছি, সে দিনই আমার নামে এমন অভিযোগ। আমার সহকর্মীরা চেয়েছে আমি যেনো দেশে ফেরার আগেই শিক্ষকতা হারাই। এই বিষয়ে ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিস্তারিত আমি ওখানেই বলবো।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর উপাচার্যের দপ্তরে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন এক ছাত্রী। তিনি অভিযোগে জানান, ১১ নভেম্বর সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অফিসে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।