ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য রাখা পোষ্য কোটা এবং খোলায়াড় কোটা বাতিল চেয়ে রিট আবেদন করেছেন কয়েকজন আইনজীবী ও অভিভাবক।
রোববার (১০ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সোলায়মান তুষার।
একটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান, দুইজন অভিভাবক ও সাধারণ নাগরিক এবং সুপ্রিম কোর্টের সাত আইনজীবীর পক্ষে মামলাটি করা হয়।
রিটকারী মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্যরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের সাত আইনজীবী সোলায়মান তুষার, মাহদী জামান, বায়েজীদ হোসাইন, নাঈম সরদার, শাহেদ সিদ্দিকী, খায়রুল বাশার ও লোকমান হাকিম এবং দুইজন সাধারণ নাগরিক মো. হোসেন আলী ও মাহফুজুল ইসলাম।
মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও রেজিস্ট্রারকে বিবাদী করা হয়েছে।
নাঈম সরদারবলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে পোষ্য কোটা ও খেলোয়াড় কোটা বহাল রেখেছে কর্তৃপক্ষ। রিট দায়েরের আগে এসব কোটা বাতিল করতে বিবাদীদের নোটিস দেওয়া হয়েছিল।
“নোটিস পাওয়ার ৫ দিনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সন্তান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য কোটা বহাল রেখে বাকি কোটা বাতিল করতে বলা হয়।”
নোটিসে বলা হয়েছিল, দেশের সর্বোচ্চ আদালত বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে মাত্র ৫ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও এই রায় প্রয়োগ করতে হবে। নোটিস পাওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি, নাতনি কোটা বাতিল করা হলেও পোষ্য কোটা ও খেলোয়াড় কোটা বহাল রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
এতে বলা হয়, খেলোয়াড়দের কোটা সংবিধানে সংজ্ঞায়িত পশ্চাৎপদ বিভাগের অধীনে পড়ে না। এ কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়ায় ক্রীড়াবিদদের জন্য বিশেষ কোটাও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থি। এছাড়া খেলোয়াড় কোটায় স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে।
রিট আবেদনটি দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী নাঈম সরদার।