পিরোজপুরের কাউখালীতে ব্যক্তিগত তথ্য গোপন করে নতুন শিক্ষাক্রমের প্রশিক্ষণে উপজেলা পর্যায়ে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষক হওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বাংলা বিষয়ের শিক্ষক আল মাহামুদ উপজেলার গন্ধর্ব জানকী নাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত।
জানা গেছে, চলতি বছর নতুন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকের শিখন কার্যক্রমের জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা বিস্তরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রশিক্ষক (মাস্টার ট্রেইনার) হিসেবে তিনি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। কিন্তু প্রশিক্ষক হতে একজন শিক্ষককে বি-এড এম-এড পাস ও ন্যূনতম ৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকার নিয়ম ছিলো।
স্থানীয় শিক্ষকদের অভিযোগ, এক বছরের কম অভিজ্ঞতা থাকলেও আল মাহামুদ মাস্টার ট্রেইনার হয়েছেন। তিনি বি-এড এখনো শেষ করেননি। তিনি গত বছরের ২৯ জানুয়ারি ওই বিদ্যালয়ে যোগদান করে এমপিওভুক্ত হন। সে হিসাবে তার শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ১ বছরেরও কম থাকলেও তিনি ৫ বছরের অভিজ্ঞতা দেখিয়ে ও অধ্যায়নরত অবস্থায় বি-এড পাস দেখিয়ে প্রশিক্ষকের আবেদন ফরম পূরণ করেন। তিনি এখন মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে ভান্ডারিয়ায় শিক্ষকদেরকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ২০১২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ কোচিং এবং স্কুলের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। এ অভিজ্ঞতার আলোকে আমি মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে আবেদন করি। আমি ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে যশোর সরকারি ট্রেনিং কলেজে ভর্তি হয়ে এ বছর বিএড সম্পন্ন করেছি।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক পবিত্র কুমার মিত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, তিনি বর্তমানে বিএড অধ্যয়নরত। নতুন শিক্ষক হয়েও কিভাবে মাস্টার ট্রেইনার হলেন তা আমার জানা নেই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হান্নান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আবেদনের তথ্য অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে নিয়োগ করেছে। শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ অনলাইনে প্রশিক্ষকের আবেদন ফরমে নির্দেশিত তথ্য গোপন করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ইদ্রিস আলী আযিযী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মাস্টার ট্রেইনার নিয়োগ কেন্দ্রীয়ভাবে হয়। এ বিষয়ে আমাদের কিছুই করার নেই।