স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার কারণে বর্তমানে চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ভরসাস্থল সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বিসিএসসহ বিভিন্ন নবম ১২তম গ্রেডের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে থাকে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি। কিন্তু বর্তমানে উচ্চপর্যায়ের কিছু ব্যক্তির প্রার্থীদের হয়ে তদবির করায় বিব্রত পিএসসি। তদবির করলে চাকরিপ্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে কর্তৃপক্ষ।
পিএসসি বলছে, বিসিএসসহ নন-ক্যাডারের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় প্রার্থীকে টেকানো বা ভাইভায় নম্বর বাড়িয়ে দেয়ার মতো তদবির করা হয়ে থাকে। যদিও পিএসসি কর্তৃক আয়োজন করা পরীক্ষায় এ ধরনের সুপারিশের কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি প্রার্থীদের প্রবেশপত্রে স্পষ্ট করে উল্লেখ করে দেয়া হলেও তা মানা হচ্ছে না। বিভিন্ন এমপির ডিও লেটারসহ তদবির করােই হচ্ছে। এ বিষয়টি নিয়ে বেশ বিব্রত পিএসসি। এখন এটি বন্ধে প্রার্থীতা বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
পিএসসি’র শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেন, চাকরিতে টেকানো বা ভাইভায় বেশি নম্বর দেয়ার তদবির পায় পিএসসি। এতে বিব্রত হওয়া ছাড়া আর কিছু হয়নি। কেননা, পিএসসি এমনভাবে পরীক্ষা নেয়, তাতে কোন পরীক্ষার্থীর খাতা কোনটি, তা পরীক্ষকেরাও বলতে পারেন না। এছাড়া ভাইভা বোর্ড তৈরি করার সময় এমনভাবে রোল সাজানো হয়, তাতে কোন পরীক্ষার্থী কোন পরীক্ষকের অধীন থাকা বোর্ডে পড়েছেন, তা বোঝার কোনো উপায় থাকে না। এমনকি পিএসসি চেয়ারম্যানও তা জানেন না।
এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, পিএসসিতে তদবির করে কোনো লাভ নেই। তদবির করলে এটি প্রার্থীর অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে। সামনের দিনগুলোতে তদবির হলে প্রার্থিতা বাতিলের কথাও চিন্তা করছে পিএসসি।
পিএসসি চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘অনেকে তদবির করে মনে করেন কাজ হবে। আসলে আমাদের সেটি শোনা ছাড়া আর কোনো কিছুই করার থাকে না। পরীক্ষার্থীদের খাতা কোনটি বা ভাইভায় কোনো বোর্ডে পড়েছেন, তা খাম খোলার আগে আমিও বলতে পারিনি। আমরা সব সময় তদবিরকে নিরুৎসাহিত করি। এ জন্য আমরা পিএসসির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সে বিষয়ে লিখে থাকি যে তদবির করা যাবে না। এটি হলে প্রার্থীতাও বাতিল হতে পারে।’