পুলিশের রমনা জোনের সাবেক এডিসি হারুন অর রশীদের নির্যাতনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম তরল খাবার ছাড়া কিছু খেতে পারছেন না। তবে অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে নাঈমের সর্বশেষ অবস্থা জানতে ফোন করা হলে তার ভাগিনা জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগের চেয়ে অবস্থা একটু ভালো হয়েছে। গতকাল ঘাড় বাঁকা হয়ে গিয়েছিল। তবে খাবার খেতে তার ব্যাপক কষ্ট হচ্ছে। নাঈমের মুখে ঠোঁটে আঘাতের কারণে তরল ছাড়া কিছু খেতে পারছে না। স্যুপ, জুস দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন
পিস্তলের বাট দিয়ে আমার দাঁত ভেঙেছে এডিসি হারুন: ছাত্রলীগ নেতা নাঈম
বুকেও প্রচণ্ড আঘাত জানিয়ে তিনি বলেন, গতকাল বুকের ব্যথা বেড়ে যায়। ডাক্তার আরও কিছু টেস্ট দিয়েছে। রিপোর্ট এলে বিস্তারিত জানা যাবে।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশের রমনা জোনের এডিসি হারুন অপর এক বিসিএস নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈমকে সঙ্গে নিয়ে ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী ঘটনাস্থলে গেলে বাকবিতণ্ডা হয়।
পরে এডিসি হারুন শাহবাগ থানা থেকে ফোর্স পাঠিয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় নিয়ে যান। সেখানে তাদের ব্যাপক নির্যাতন করা হয়।
ওই ঘটনার পরদিন রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের নির্দেশে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
এর আগে রোববার এডিসি হারুন অর রশীদকে বদলি করে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজম্যান্ট (পিওএম) এ সংযুক্ত করা হয়।
এর কয়েক ঘণ্টা পরেই হারুন অর রশীদকে ফের বদলি করা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সই করা এক আদেশে অভিযুক্ত হারুনকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে বদলি করা হয়।
আরওপড়ুন:
ছাত্রলীগ পেটানো এডিসি হারুনকে রমনা থেকে প্রত্যাহার
ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের নেপথ্যকথা ও নারী পুলিশ কর্মকর্তার বয়ান