যাত্রবাড়ীর তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার (মূল ক্যাম্পাস) সাধারণ শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন চেক করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ছাত্রলীগের সঙ্গেও যুক্ত। এ ঘটনার জেরে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করার ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর মাদরাসার সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভ দেখায়। মাদরাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, এ ঘটনার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য, মাদরাসার গভর্নিং বডির সদস্য এবং পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত গত ১ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের ছাত্রসমাবেশে কিছু যুবক নিজেদের তা’মীরুল মিল্লাতের ছাত্র দাবি করা নিয়ে। ওসব যুবকরা তা’মীরুল মিল্লাত ছাত্রদের পক্ষ থেকে সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছে বলে জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তা’মীরুল মিল্লাত ক্যাম্পাসের ছাত্ররা যারা সেদিন সমাবেশে গিয়েছিল তারা মিল্লাতের ছাত্র নয় বলে অনলাইনে চিহ্নিত করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিকালে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী মাদরাসা ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষার্থীদের ফোন চেক করে। প্রতিবাদ করলে উত্তেজনা তৈরি হয়।
পরবর্তীতে ফোন চেক করা ইস্যুতে উভয় পক্ষের মাঝে এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেলে পরে সন্ধ্যার দিকে একদল যুবক এসে মাদরাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় মাদরাসা মেইন গেট বন্ধ থাকলে, মাদরাসা ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে বাহিরে শ্লোগান দেয়। এসময় মসজিদের সাধারণ মুসল্লিরা মসজিদে আটকা পড়ে।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাদরাসা এক শিক্ষার্থী বলেন, মোবাইল সবার ব্যাক্তিগত বিষয়। আজকে বিকেলে ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয় দিয়ে শিক্ষার্থীদের ফোন চেক করা শুরু করে একদল লোক। এসময় শিক্ষার্থীরা বাধা দিলে তাদের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়। এরপর তারা চলে গিয়ে,অনেক লোক নিয়ে রাস্তা থেকে মাদরাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
জানতে চাইলে মাদরাসা অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ বলেন, আমি মাদরাসা বাহিরে ছিলাম। তবে ঘটনা শুনেছি কিছু লোকজন মাদরাসায় পাথর নিক্ষেপ করেছে। পরবর্তীতে স্থানীয় এমপি, মিল্লাত গভর্ণিং বডির সদস্যারা আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
তবে এ বিষয়ে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কোনো বক্তব্যে নেওয়া সম্ভব হয়নি।