দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: এই ঢাকা শহর আমাদের সন্তানদের দিতে পারছে না কোনো খোলা জায়গা অথবা অবাধ বিচরণের খেলার মাঠ। সন্তানের আনন্দ দিতে কেউ যাচ্ছেন রেস্টুরেন্টে অথবা কেউ কেউ যাচ্ছে ইনডোর-প্লে জোনগুলোতে।
ছুটির দিনগুলোতে কোথায় গেলে সন্তান আনন্দ পাবে, কীভাবে ক্রিয়েটিভিটির পরিপূর্ণ বিকাশ হবে, আবার কীভাবে সন্তানের কল্পনা আর চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটিয়ে ভবিষ্যতের একজন সফল মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে-তাই ভাবে একজন অভিভাবক।
আর এ ভাবনার উত্তর খুঁজতে গিয়েই কিডস টাইমের যাত্রা শুরু। কিডস টাইমের প্রতিষ্ঠাতা তাহমিনা রহমান মনে করেন, প্রতিটি শিশুর মধ্যেই রয়েছে সৃজনশীলতার বীজ। আর আনন্দের মাধ্যমে শিশুদের সব কিছু শেখানো যায়। ছয় বছর আগে যাত্রা শুরু হয় কিডস টাইমের। এখানে শিশুরা শেখে ক্রিয়াটিভিটি, দলীয় কাজের মাধ্যমে শেখে সোস্যাল স্কিল আর পাপেট্রির মতো ক্লাসে তারা শেখে ইমোশোনালি ইন্টেলিজেন্ট হতে আর এভাবে তারা তৈরি হছে ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য। এখন পর্যন্ত চার হাজারের বেশি শিশু গ্রেজুয়েট করেছে কিডস টাইম থেকে।
শিশুদের ক্রিয়েটিভিটি উদযাপন করতে প্রতিবছর কিডস টাইম থেকে আয়োজন করে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিশুদের মেলা। এবার চতুর্থ বারের মতো আয়োজন হচ্ছে কিডস টাইম মেলার। ৩-দিনব্যাপি এ মেলা আয়োজিত হবে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে। তিনদিনের মেলায় থাকবে আর্ট, ক্র্যাফট, বিভিন্ন রকমের খেলা, পাপেট শো, ম্যাজিক শো, নিট্রিশন ও নিরাপদ খাবার নিয়ে বিশেষ খেলা ও আরো অনেক আয়োজন।
এ আয়োজনে সারা ঢাকার প্রায় ২০ হাজার পরিবার অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
কিডস টাইম বিশ্বাস করে আমাদের সবারই দায়িত্ব হচ্ছে শিশুদের জন্য একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার। তাই বিভিন্ন ব্র্যান্ডগুলো অনেক উপহার, র্যাগেল-ড্র, আর খেলা নিয়ে থাকছে কিডস টাইমের মেলাকে আরও আনন্দময় করতে পরিবারের জন্য।
প্রতিবারের মতো এবারও কিডস টাইম মেলা আয়োজিত হচ্ছে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, দোয়েল চত্বরে, ফেরুয়ারির ১৬-১৮ তারিখ। সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে কিডস টাইম মেলা।
অভিভাবকরা চাইলে সরাসরি অনলাইন থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। পাশাপাশি শিশু একাডেমিতে গিয়ে মেলার যেকোনো দিন যেতে পারবেন।
আগ্রহী স্কুলরাও কিডস টাইম মেলায় তাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসতে পারেন। স্কুলের জন্য থাকছে সম্পুর্ণ ফ্রি এন্ট্রি।