নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রেখে শোডাউন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার প্রস্তুতিকালে তিন প্রতিষ্ঠানের মাঠে জড়ো হন স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুসারীরা। প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো সরকারি আলাওল ডিগ্রি কলেজ, বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও বাঁশখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জানান, প্রথমে সংসদ সদস্য নিজে আলাওল কলেজের অফিস কক্ষে গিয়ে অবস্থান নেন। সেখান থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আসেন। এ সময় বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা মাঠে অবস্থান নেয়। বেশি মানুষ দেখাতে শিক্ষার্থীদের মাঠে জড়ো করা হয়। রোদের মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। তার ওপর মাইকের উচ্চ স্বরে ক্লাস চালানো অসম্ভব। এমনকি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটে দাঁড়িয়ে বক্তব্যও দেন নেতারা। আব্দুল গফুর নিজেও বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজে শিক্ষকতা করলেও তিনিও এদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।
বাঁশখালী সরকারি আলাওল ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আজিজুর রহমানকে কল দিলে তিনি গাড়িতে আছেন জানিয়ে কল কেটে দেন। বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন চক্রবর্তী বলেন, আমার তিনটি ভবন রয়েছে। এই তিনটি ভবন আলাদা। ফরম পূরণেরও কাজ চলছে। এরই মধ্যে ক্লাস চলছে। স্কুলের ভেতরে কেউ আসেনি, মাঠেই ছিলেন সবাই। সে জন্য স্কুলের কোনো সমস্যা হয়নি। শিক্ষকরা ক্লাস শেষ করে চলে যাওয়ার পর অন্য শিক্ষক ক্লাসে আসতে আসতে কয়েকজন তো বের হতেই পারে। তা ছাড়া পাঠদানের কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি বলে জানান তিনি।বাঁশখালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর বলেন, কয়েকশ মোটরসাইকেল নিয়ে স্কুল মাঠে জড়ো হয়েছি মোটর শোভাযাত্রার জন্য। এ সময় বক্তব্যও দিয়েছি। এরপর এমপির নেতৃত্বে শোভাযাত্রা শেষ হয়েছে। তবে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়নি বলে জানান তিনি। বাশঁখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।