টানা বর্ষণ ও ভারত থেকে আসা উজানের পানিতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি স্লুইস গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই অবস্থায় আতঙ্কিত চরাঞ্চলের মানুষ। তাদের ঈদের আনন্দ মাটি হতে চলেছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্টে ২৮ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে, যা বিপদসীমার মাত্র দশমিক ৫ সেন্টিমিটার নিচে। তাছাড়া গতকাল শনিবার সকাল ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্ট ও ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদ চিহ্নের মাত্র ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো।
কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নবাসী জানান, শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যা হলে নদীর তীরে বসবাসকারী মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এতে চিনাবাদাম ও বিভিন্ন শাকসবজিসহ ফসলেরও ক্ষতি হবে।
কাউনিয়ার চরগনাই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার ভোর থেকে পানি বাড়ছে এবং আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। আমরা আতঙ্কে আছি। ঈদের আগে যদি আমাদের ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়, তাহলে আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়ব। বড় কষ্ট হবে।
এলাকাবাসীর বক্তব্য, হঠাৎ করে পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় তাদের গবাদিপশুর জন্যও ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে। ঈদের আগে এসব পশু নিয়ে আমরা তারা কোথায় আশ্রয় নেবেন সেই প্রশ্ন তাদের।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলামের দপ্তর জানায়, উজান থেকে বয়ে যাওয়া ও টানা বৃষ্টিতে ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারেজের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখনও বন্যার কোনো লক্ষণ নেই। ভারতে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে, উজানের ঢলে নদীর প্রবাহ আরও বাড়তে পারে। এখনি আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।