ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সব আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) রংপুর বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে মিছিলটি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে প্রধান ফটকের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গজলডোবা বাঁধ খুলে দিয়ে রংপুরের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রতিবাদ জানান।
সমাবেশে আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ এ বি এম জাকির হোসেন, জিওগ্রাফী অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইনজামুল হক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইটসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘উত্তরবঙ্গের সঙ্গে বৈষম্য আর না আর না’, ‘উত্তরবঙ্গ বন্যায় ডুবে গেলে বাংলাদেশ অন্ধ হয়ে যাও কেনো’, ‘ত্রাণ নয় স্থায়ী সমাধান চাই’, ‘উত্তরের কান্না চুপ কেনো বাংলা’ লেখা সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে উপস্থিত হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, রংপুরের মানুষের সব সময়ের দাবি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন। আমাদের দেশের সবচেয়ে অবহেলিত বিভাগ রংপুর। বিগত সরকার বাংলাদেশকে ভারতের অংশ বানিয়েছিলো।
জিওগ্রাফী অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইনজামুল হক বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বলে আমাদের সবসময় ভুল বুঝানো হচ্ছে। তিস্তার পনি আসার কথা উত্তরবঙ্গের মধ্য দিয়ে কিন্তু সেটা পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমাদেরকে পানির ন্যায্য হিস্যা দেয়া হচ্ছে না। ভারতে এক তিস্তাতে বাঁধ দেয়ার পরিকল্পনা করছে ৩৪টা যার মধ্যে ১৭টা বাঁধ বাস্তবায়ন করেছে।