তাপপ্রবাহে তীব্র গরমের কারণে সোমবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রোববার সকালে একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এ ঘোষণা করেছিলেন। এবার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করে নির্দেশিকা জারি করেছে বিকাশ ভবন।
জানা গেছে, আপাতত চলতি সপ্তাহে ছুটি থাকবে রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেই মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে অধ্যক্ষ এবং উপাচার্যদের। তবে দার্জিলিং এবং কালিম্পং, এই দুই পাহাড়ি জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে না।
রোববার বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিকাশ ভবন জানিয়েছে, তাপপ্রবাহের কারণে ১৭ এপ্রিল থেকে রাজ্যের সব সরকারি, বেসরকারি, কেন্দ্রীয় সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। আপাতত এক সপ্তাহের জন্য। তবে বিকাশ ভবন জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধই থাকবে।
স্কুলের পাশাপাশি বন্ধ থাকবে রাজ্যের সমস্ত সরকারি, বেসরকারি, কেন্দ্রীয় সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। তবে দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। ১৭ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ছুটি। চলবে গোটা সপ্তাহ। বিকাশ ভবন জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশিকা জারি না করা পর্যন্ত ছুটি থাকবে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই নিয়ে উপাচার্যদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রোববার সকালে এবিপি আনন্দকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সোমবার থেকে সরকারি, বেসরকারি স্কুলে ছুটি ঘোষণা করতে বলছি। মানুষের স্বার্থে একটা ব্যবস্থা করতে হবে না? সোম থেকে শনি—সব সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করছি ছুটি দিতে। সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।’’
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে সোমবার থেকে আগামী পাঁচ দিন তাপপ্রবাহ হতে পারে। সে জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রোববার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় তাপপ্রবাহ হবে না। তবে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাপমাত্রাও খুব একটা কমবে না শহরে। রোববারও ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে কলকাতার পারদ। ফলে অস্বস্তি যে কমছে না, তা এক প্রকার নিশ্চিত। পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় রোববারও তাপপ্রবাহ হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে আরও ভয়াবহ অবস্থা। উত্তরেও ক্রমেই বাড়ছে তাপমাত্রা। এই পরিস্থিতিতে সব থেকে সমস্যা হয় খুদে পড়ুয়া এবং বৃদ্ধদের। সে কথা সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও জানিয়েছেন। সে কারণেই যে ছুটির ঘোষণা, তা-ও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকারি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটি ঘোষণা হচ্ছেই, বেসরকারি স্কুলগুলিও যাতে ছুটি ঘোষণা করে, তার জন্য অনুরোধ করছেন তিনি। বেসরকারি স্কুলগুলি যে হেতু স্বশাসিত, তাই মুখ্যমন্ত্রীর এই অনুরোধ।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা