ময়মনসিংহে বিধি বর্হিভূতভাবে এক ব্যক্তি ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে ৫ টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ২টি ফাজিল মাদরাসা এবং ৩টি দাখিল মাদরাসার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তিনি আর কেউ নন, তিনি ময়মনসিংহ (ফুলবাড়ীয়া) ৬ আসনের সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিনের বড় ছেলে ও ফুলবাড়ীয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুল হক সেলিম। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
এমপির ছেলে যেসব প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সেগুলো হচ্ছে, কুশমাইল বদর উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, বৈদ্যবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, হাতিলেইট উচ্চ বিদ্যালয়, পাহাড় অনন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়, লোহাশহর উচ্চ বিদ্যালয়, বিদ্যানন্দ ফাজিল মাদরাসা, কে আই সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা, সন্তোষপুর দাখিল মাদরাসা, কৈয়ার পূর্বপাড়া বালিকা দাখিল মাদরাসা, চান্দের বালিকা দাখিল মাদরাসা।
জানতে চাইলে ইমদাদুল হক সেলিম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেশি প্রতিষ্ঠানে সভাপতি থাকা যাবে না-এমন নির্দেশনা পাওয়ার পর তিনি ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ১০টির বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন। তিনি আরো জানান, তিনি ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য। সেই হিসেবে এবং কমিটি নিয়ে গ্রুপিং বা কোন্দল থাকলে তাকে সভাপতি করা হয়। তিনি বর্তমানে কুশমাইল বদর উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, বৈদ্যবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, পাহাড় অনন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়, লোহাশহর উচ্চ বিদ্যালয়, বিদ্যানন্দ ফাজিল মাদরাসা, কে আই সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা, সন্তোষপুর দাখিল মাদরাসার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বলে নিশ্চিত করেন।
জেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ২টি কলেজ ও ২টি উচ্চ বিদ্যালয় মোট ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেশি সভাপতি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. গাজী হাসান কামাল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ৪টির বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতি হওয়ার কোনো বিধান নেই। এমন অনিয়মের অভিযোগ দেয়া হলে খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।