নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের (ডিজিএনএম) ও কাউন্সিলের সব পদে যোগ্য নার্সদের পদায়নের এক দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দিনাজপুরে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বুধবার দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা এ কর্মবিরতি পালন করেন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদে ব্যানারে এই কর্মবিরতি পালন করা হয়।
এ সময় নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, পরিচালক এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্ট্রার পদ থেকে সব ক্যাডার কর্মকর্তাদের অপসারণ করে এই পদগুলোতে নার্সিং কর্মকর্তাদের পদায়নের এক দফা দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান আন্দোলনকারীরা। অন্যথায় আরো বৃহত্তর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
গত ৬ অক্টোবর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িকভাবে দুই জন নার্সিং কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে পরিপূর্ণভাবে পদায়ন না করে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্বে পদায়ন করা হয়। এতে স নার্স, মিডেওয়াইফ, শিক্ষার্থীরা এবং সংস্কার পরিষদ হতাশ হয়। অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) নাসির উদ্দিনকে অধিদপ্তর থেকে প্রত্যাহার করে এই পদে এবং মহাপরিচালক পদে এখনও অভিজ্ঞ নার্স পদায়ন করা হয়নি। এর প্রেক্ষিতে তাদের এক দফা দাবি পূরণে কেন্দ্রীয় সংস্কার পরিষদ কর্তৃক ৮ ও ৯ অক্টোবর কর্মবিরতি কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ সময় বক্তব্য দেন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদ দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল শাখার আহ্বায়ক বেনজামিন দাস, সদস্য সচিব রাখী আকতার, দিনাজপুর নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ মোছা. কোহিনুর বেগম, নার্সিং কলেজের প্রভাষক শাহিদা খানম, দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং কর্মকর্তা শামসুন নাহার, দিনাজপুর নার্সিং কলেজের ইনস্ট্রাক্টর আয়শা সিদ্দিকা, শিখা বিশ্বাস, নার্সিং শিক্ষার্থী মো. ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, ইমারজেন্সি ওটি, ডায়ালাইসিস, আইসিইউ, সিসিইউ, পিআইসিইউ ইউনিটগুলি কর্মবিরতির আওতামুক্ত ছিলো।