দীর্ঘ বন্ধের পরে ক্লাসে ফিরে উচ্ছ্বসিত ইবি শিক্ষার্থীরা - দৈনিকশিক্ষা

দীর্ঘ বন্ধের পরে ক্লাসে ফিরে উচ্ছ্বসিত ইবি শিক্ষার্থীরা

দৈনিক শিক্ষাডটকম, ইবি |

অবশেষে প্রায় দীর্ঘ তিন মাস বন্ধের পরে সশরীরে ক্লাসে ফিরেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন পরে ক্লাসে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তারা। 

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাস চালু হয়। 

শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘ বন্ধ ও আন্দোলন সংগ্রামের কারণে তাদের পড়াশোনায় ঘাটতি হয়ে গেছে। তারা শিক্ষা কার্যক্রম থেকে পিছিয়ে গেছেন। তাই অনেকদিন পরে ক্লাসে ফিরতে পেরে আনন্দিত তারা। এছাড়াও অনেকদিন পরে বন্ধুদের সাথে দেখাসাক্ষাৎ ও আড্ডায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে তাদের মধ্যে থাকা একঘেয়েমি ভাব কেটে যাবে বলে জানান তারা।

অর্পিতা গোস্বামী প্রমা নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, অনেকদিন বাড়িতে থেকে থেকে একঘেয়েমি ভাব চলে আসছিলো। কতদিন বন্ধু বান্ধবীদের সাথে একসাথে আড্ডা দিতে পারিনি। দীর্ঘ বিরতির কারণ বন্ধুদের মাঝেও সম্পর্কের ভাটি পরেছে। পড়াশোনাও তেমন হয়নি। তাই বহু প্রতিপক্ষার পরে ক্লাসে এসে একটু অন্যরক আনন্দ লাগছে। সকলের সাথে সরাসরি কথা দেখা হওয়ায় ভালো লাগছে। আমি চাই আমাদের ক্লাস পরীক্ষায় যেন আর কোনো সমস্যা তৈরি না হয়।

জানা যায়, ইবিতে গত ৬ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন অবকাশ ও ঈদুল আজহার দেয়া হয়৷ ছুটি শেষে দুইদিন ক্লাস চলার পর ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলন শুরু হয়। এ সময় তারা সব ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয়। এরই মাঝে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পৃথক আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইবিতেও বন্ধ হয়ে যায় সকল একাডেমিক কার্যক্রম। পরবর্তীতে ৫ আগস্টে হাসিনা সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে আসলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের পদত্যাগের ফলে সশরীরে ক্লাস চালু করা সম্ভব হয়নি৷ সবশেষে ৮৪ দিন পর শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে - dainik shiksha প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত - dainik shiksha স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত নতুন পাঠ্য বইয়ে থাকছে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের বীরত্বগাথার গল্প - dainik shiksha নতুন পাঠ্য বইয়ে থাকছে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের বীরত্বগাথার গল্প শিক্ষার্থীদের দুপক্ষের দফায় দফায় সং*ঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম! - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের দুপক্ষের দফায় দফায় সং*ঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম! শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি - dainik shiksha শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003303050994873