পিরোজপুরের নাজিরপুরের দুই ট্রলারের সংঘর্ষে বিনয় ভুষন মজমুদার (৬২) নামের এক অবসরপ্রাপ্ত এক স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার দেউলবাড়ি দোবরা ইউনিয়নের পদ্মাডুবি এলাকার মনোহরপুর গ্রামের মৃত্যু ক্ষিরোদ চন্দ্র মজুমদারের ছেলে ও মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।
গতকাল রোববার রাতে দিকে স্থানীয় মনোহরপুর স্কুল সংলগ্ন ঘরামী বাড়ির পূর্ব পাশের খালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে নিহত শিক্ষকের ছেলে রাজীব মজুমদার বাদি হয়ে নাজিরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় মো. জাহিদুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ওই রাতের ৯টার দিকে ওই শিক্ষক তাদের নিজস্ব একটি ট্রলার চালিয়ে তার ছোট ভাই সান্টু মজুমদারকে নিয়ে মনোহরপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে ট্রলার নিয়ে আসা একই এলাকার আয়নালী মৃধার ছেলে কাঁচামাল বিক্রেতা ইউসুফ মৃধা ওই শিক্ষকের ট্রলারটি চাপা দেন। এতে ওই শিক্ষকের ট্রলারটি উল্টে তিনি ও তার ছোট ভাই ট্রলারের নিচে পড়েন। ছোট ভাই সাঁতরে উঠলেও কিছু সময় পর ওই শিক্ষক ভেসে উঠেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চাপা দেয়া ট্রলারে করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মশিউর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ওই শিক্ষককে মৃত্যু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের ছেলে বাদি হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘাতক ট্রলারের চালককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।