দুই বস্তা চিনি ও ১০০ গ্রাম সরিষা ফুলের মধু দিয়ে ৪০০ কেজি মধু তৈরি কারিগর এক প্রতারকের সন্ধান মিলেছে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সিংগা এলাকায়। ওই প্রতারকের নাম কামাল হোসেন। ৮০০ কেজি ভেজাল মধু বিপণনের উদ্দেশে মজুদ করার অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতারক কামাল হোসেনকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা ও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কামাল হোসেন শ্যামনগর উপজেলার দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। তিনি কলারোয়ার সিংগা এলাকায় ভেজাল মধু তৈরি করতেন।
জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, কামাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে কলারোয়ার সিংগা গ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে ভেজাল মধু বানাতেন। চিনি ও মধুর সঙ্গে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে তিনি ভেজাল মধু বানাতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার দুপুরে সিংগা এলাকায় অভিযান চালিয়ে কামাল হোসেনকে হাতেনাতে আটক করে। তার কাছ থেকে জব্দ করা হয় ৮০০ কেজিরও বেশি ভেজাল মধু। পরে তাকে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলী বিশ্বাসের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের খাদ্য আইনের ২৫ ধারায় তাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন ও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ সময় ওই ভাড়া বাড়ি থেকে কৃত্রিম মধু তৈরির সরঞ্জামসহ জব্দকৃত ভেজাল মধু কেরোসিন ঢেলে জ্বালিয়ে বিনষ্ট করা হয়।
মোখলেছুর রহমান আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কামাল হোসেন স্বীকার করেছেন, অল্প পরিমাণ সরিষার মধুতে বিপুল পরিমাণে চিনি ও অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে খুবই লাভজনক এ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তিনি এসব ভেজাল মধু সাতক্ষীরা, ঢাকা ও চট্টগ্রামে জননী কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠাতেন।