দুই শব্দে অধ্যক্ষের পদত্যাগ! - দৈনিকশিক্ষা

দুই শব্দে অধ্যক্ষের পদত্যাগ!

দৈনিক শিক্ষাডটকম, বরিশাল |

বরিশালের বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সাদা কাগজে লিখলেন– ‘পদত্যাগ করলাম’। এর পর কাগজে দিলেন নিজের সিল। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এর পর হলেন শান্ত। অথচ এর আগে প্রায় ৩ ঘণ্টা তাদের মিছিল-সমাবেশে ক্যাম্পাস ছিল অস্থির। 

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) কলেজের অধ্যক্ষ শুক্লা রানী হালদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে একদল শিক্ষার্থী তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। দুপুর ২টার দিকে তিনি ‘পদত্যাগ করলাম’ লিখে মুক্ত হন। ১৪তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার শুক্লা রানী ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক। দুই বছর আগে তিনি সরকারি বাকেরগঞ্জ কলেজে যোগ দেন। এর আগে ছিলেন বরিশাল নগরের বিএম কলেজে। 

স্থানীয়রা জানান, দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একদল শিক্ষার্থী অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করে। তবে কলেজের শিক্ষার্থীর চেয়ে বহিরাগত তরুণদের উপস্থিতি বেশি ছিল।  

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের উল্লেখযোগ্য হলো- সপ্তাহে এক-দু’দিন কলেজে আসা, দুই বছরে ১০-১২ লাখ টাকা আত্মসাৎ, একটি ওভেন বাসায় নিয়ে যাওয়া, ম্যাগাজিনের নামে ৭৫ হাজার টাকা এবং ফুলবাগান করার নামে দুই বছরে ৮০ হাজার টাকা আত্মসাৎ।

আন্দোলনকারী হাবিবুর রহমান বলেন, তার বাড়ি বাকেরগঞ্জের কবাই। আগে এই কলেজের ছাত্র ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় নেতৃত্বে দেয়ার পর বাকেরগঞ্জ উপজেলাকে দুর্নীতিমুক্ত করতে চান। তাই কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগের আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন।

কাগজে দুটি শব্দ লিখলেই একজন বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তার পদত্যাগ কার্যকর হয় কিনা জানতে চাইলে হাবিবুর বলেন, এগুলো আমাদের জানা নেই। তাহলে এখন আমাদের কী করতে হবে? তবে পদত্যাগ হোক বা না হোক, তাকে আর কলেজে ঢুকতে দেয়া হবে না।

অধ্যক্ষ শুক্লা বলেন, যাদের পড়িয়েছি, তাদের কয়েকজন আমাকে চরম অপমান করেছে। তবে শিক্ষার্থীর চেয়ে এখানে বহিরাগত বেশি ছিল। কোনোভাবে ওদের শান্ত করতে না পেরে ‘পদত্যাগ করলাম’ লিখে দিয়েছি। এখন পুরো বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, একটি অভিযোগেরও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। তাদের একটি পক্ষ শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের ব্যবহার করেছে।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, কলেজ মসজিদের ইমাম মাওলানা আলতাফকে কয়েক বছর আগে অপসারণ করে আরেকজনকে নিয়োগ দেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারা। সরকার পতনের পর আলতাফকে পুনর্বহাল করতে সক্রিয় হয় স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষ। তাদের ইন্ধনেই অধ্যক্ষবিরোধী আন্দোলনটি হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, আমিও শুনেছি, অধ্যক্ষের কাছ থেকে ‘পদত্যাগ করলাম’ লেখা নেয়া হয়েছে। কিন্তু এভাবে তো পদত্যাগ হয় না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে, জেলা প্রশাসককে সব জানিয়েছি।

ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দশ দিনে আবেদন প্রায় ৬ লাখ - dainik shiksha সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দশ দিনে আবেদন প্রায় ৬ লাখ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা - dainik shiksha বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ধারণা বাড়াতেই পাঠ্যক্রমে তথ্য অধিকার আইন বিষয় যুক্ত: এনসিটিবি চেয়ারম্যান - dainik shiksha ধারণা বাড়াতেই পাঠ্যক্রমে তথ্য অধিকার আইন বিষয় যুক্ত: এনসিটিবি চেয়ারম্যান কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ২১তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ২১তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ - dainik shiksha সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ সুইডেনে স্কলারশিপে স্নাতকোত্তরের সুযোগ - dainik shiksha সুইডেনে স্কলারশিপে স্নাতকোত্তরের সুযোগ পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন - dainik shiksha পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0039069652557373