চাঁদপুরের শাহরাস্তির খিলাবাজার স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হলেন-মো. কাউছার আলম ও মজিবুর রহমান। মঙ্গলবার শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। প্রতিকার চেয়ে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থীর মা।
অভিযোগে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই প্রতিষ্ঠানের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনার দিন বিদ্যালয়ে আসার পর কাউছার আলম তাকে অশালীন কথা বলেন। প্রতিবাদ করায় বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক মজিবুরকে দিয়ে ওই ছাত্রীকে বেদম প্রহার করান কাউছার। দৌড়ে পালানোর সময় শিক্ষক কাউছার তাকে আবারও বেত্রাঘাত করেন। ভুক্তভোগী অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়ে।
পরে বিদ্যালয়ের আয়া মায়া রানি তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগীর মা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে মেয়েকে চিকিৎসা করান। পরদিন ১৫ মার্চ তিনি ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। শিক্ষার্থীর মা জানান, ঘটনার দিন স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ডা. মাহফুজুর রহমান ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে অবহিত করি। তারা আমার মেয়ের অবস্থা দেখেন, কিন্তু কোনো প্রতিকারের আশ্বাস দেননি।
ভুক্তভোগী জানায়, দুই মাস আগে টিকা নিতে গেলে কাউছার স্যার আমাকে তার সঙ্গে সম্পর্ক করার নোংরা প্রস্তাব দেন। রাজি না হওয়ায় তিনি বিভিন্ন ভাবে আমার ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
শিক্ষক মজিবুর জানান, ওই কিশোরী প্রায়ই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জ্বালাতন করে। ঘটনার দিন সে শিক্ষক কাউছার ও অন্য শিক্ষার্থীদের ঢিল ছোঁড়া শুরু করে। আমি বেতের ভয় দেখিয়ে তাকে একটি সিএনজিতে করে বাড়ি পাঠিয়ে দিই।
কাউছার আলম জানান, ঘটনার দিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে আমি ভয় দেখানোর উদ্দেশে কিশোরীকে মৃদু বেত্রাঘাত করেছি। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ছাত্রীকে ছাড়পত্র নিয়ে চলে যাওয়ার নোটিশ দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
ইউএনও মোহাম্মদ হুমায়ুন রশীদ জানান, ছাত্রীর মা এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।