বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি শিরীণ আখতারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দুদক উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম জানান, গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধানে দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র জানান, শিরীন আখতার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম ও প্রথম নারী উপাচার্য। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ৩ নভেম্বর তিনি উপাচার্য নিযুক্ত হন। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের মার্চে দায়িত্ব ছাড়েন। তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগবাণিজ্য ও সরকারি অর্থ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে।
শিরীন আখতারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে গত জুনে বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে ইউজিসির গঠিত তদন্ত কমিটি। অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদ ভবন উদ্বোধন, তাঁর শেষ কর্মদিবসে বিনা বিজ্ঞাপনে অর্ধশতাধিক কর্মচারী নিয়োগসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্ত করছে ইউজিসির তদন্ত কমিটি। শিরীন আখতার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি পদে ১৬ থেকে ২০ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ, সংবিধি ও শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার তোয়াক্কা না করে বিধিবহির্ভূতভাবে শতাধিক শিক্ষক নিয়োগ দেন।