উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে শিক্ষা কর্মকর্তা নেই। অফিসে আছেন একজন কর্মচারী। সদর দরজা খোলা। চারিদিকে শুনশান নিরবতা। কিন্তু ঘড়িতে সময় দুপুর আড়াইটা। ঈদের ছুটির পর সকালে নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত অফিস চলার কথা থাকলেও দুপুরেই চলে গেছেন শিক্ষা কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে ঝালকাঠীর নলছিটির উপজেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিজিটাল শিক্ষা ভবনে অবস্থিত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে।
দুপুরে আড়াইটায় সরেজমিনে শিক্ষা অফিসে গিয়ে দেখা যায়, অফিসের প্রধান ফটক খোলা। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই এটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। অফিসে একজন কর্মচারী রয়েছেন। অফিসে ব্যানবেইসের একজন কর্মচারীকেও দেখা যায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমডি আবুল বাসার তালুকদার কোথায় জানতে চাইলে উপস্থিত কর্মচারীরা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে, তারা বলেন, স্যার চলে গেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ আছে। তিনি এর আগে ঘুষ নিয়ে ধরা পড়েছিলেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাসার তালুকদার সপ্তাহে দুই দিন বা তিন দিন অফিসে আসেন। যেদিন অফিসে আসেন সেদিন সকাল দশটায় এসে দুপুর বরোটায় অফিস থেকে চলে যান। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে গেলে দেখা মেলেনি শিক্ষা কর্মকর্তা এমডি আবুল বাসার তালুকদারের।
এসব বিষয়ে কথা বলতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় নলছিটি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমডি আবুল বাসার তালুকদারের সঙ্গে। তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমের কাছে দাবি করেন, তিনি উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার একটি অনুষ্ঠানে বাইরে ছিলেন। বিকেল তিনটায় তিনি অফিসে ফিরে এসেছেন বলেও দাবি করেন।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।