‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হব, বৈষম্য দূর করতে সচেষ্ট হব, মাদক থেকে দূরে থাকব। বিজ্ঞানমনস্ক আলোকিত দেশ গড়ার কাজে নিজেদের নিয়োজিত করব। হাত বাড়াবো পিছিয়ে পড়া মানুষদের দিকে’ মুক্তির উৎসবে মাথায় লাল-সবুজ ক্যাপ পরে এ শপথ নেন হাজারও স্কুল শিক্ষার্থী। শুক্রবার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের শিক্ষা কর্মসূচির অধীনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে দিনব্যাপী গান, নৃত্য, আলোচনা, র্যাফেল ড্রসহ নানা আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্য, শিল্পী-সাহিত্যিক এবং হাজারো শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
সকাল নয়টায় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে উৎসবের শুরু হয়। ছায়ানটের শিল্পীদের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করান বীর প্রতীক মেজর জেনারেল (অব.) জামিল ডি আহসান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, ট্রাস্টি সারা যাকের ও সংগীতশিল্পী ডালিয়া নওশীন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন সংসদ সদস্য ও সংস্কৃতিজন আসাদুজ্জামান নূর ও মফিদুল হক।
আ ক কম মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলি, সে চেতনার ভিত্তিতে এ দেশটি হবে গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে। সবাই সমান ধর্ম পালন করবে। এ দেশ হবে অসাম্প্রদায়িক। যেখানে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করবে। এটাই ছিল ৭২ এর সংবিধান। তবে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশ উল্টো দিকে গিয়েছে। তোমাদেরকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে কাজ করতে হবে। সেই প্রত্যয় নিয়ে এই উৎসব হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করে ছায়ানট, বধ্যভূমির সন্তানদল, ইউসেপ বাংলাদেশ, সন্দীপন এবং শিল্পী ফেরদৌস আরা, আবিদা রহমান সেতু ও রিয়াদ হাসান। এছাড়া সঙ্গীতে অংশ নেয় ভাসানটেক স্কুল এন্ড কলেজ, মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি স্কুল ইনস্টিটিউট, আব্দুল্লাহ মেমোরিয়াল হাই স্কুল। শুক্লা সরকারের পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করে ধ্রুপদ কলাকেন্দ্র এবং বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা।