দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৬ এর ১০ (১) ধারা অনুসারে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ ডিসেম্বর ষষ্ঠ ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। গত দু’বছর ধরে তিনি শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নকে সামনে রেখে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে নিয়ে নিরলস কাজ করে চলেছেন। প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে যোগদানের পর এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এই লক্ষে তিনি ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছেন। উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো তিনটি ভাগে নিম্নে উপস্থাপন করা হলো-
শিক্ষা
ড. সৌমিত্র শেখর ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে যোগদানের পর অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে একটি একাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরি করে নবীন শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন এবং প্রতি বছর এর প্রকাশ অব্যাহত রাখেন। তাছাড়া তিনি তাৎক্ষণিক পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ে আলোচনা করেন ও খোঁজ-খবর নেন এবং সেই অনুযায়ী সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের লক্ষে তিনি ট্রাস্ট ফান্ড গঠন ও বৃত্তি প্রদান করেন। তাঁর সময়ই ৩০ লাখ টাকার ট্রাস্ট ফান্ড গঠন ও বৃত্তিপ্রদান চালু হয়। বর্তমানে এমন ফান্ড আরো হচ্ছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন এবং ধারাবাহিকভাবে নিয়মিত প্রকাশের ব্যবস্থা করেছেন। ইতোমধ্যেই দ্বিতীয় বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সেশন জট কমিয়ে আনা এবং একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ক্লাস, পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন ও উদ্বোধন করা হয়। তাছাড়া অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত দুটি বিশাল পরীক্ষার হলসহ মোট ৬টি পরীক্ষার হল চালু করায় পরীক্ষা কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের সব প্রেস বিজ্ঞপ্তির সমন্বয়ে প্রথমবারের মতো ‘কর্ম-সঞ্চিতা’ নামে একটি প্রকাশনা বের করে। স্মার্ট ক্যাম্পাস বিনির্মাণের লক্ষে প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর ডি-নথি (ডিজিটাল নথি) কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে মূল্যায়ন করে উত্তীর্ণদের সনদপত্র দেয়া হয়। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক প্রকাশিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ২০২২-২০২৩ র্যাংকিংয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৪তম অবস্থান অর্জন করে।
প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের এক মাসের মধ্যে সকল সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ১২শ’ আসন বিশিষ্ট দুটি পৃথক আবাসিক হল (ছাত্র, ছাত্রী) চালু করে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত আবাসন ও পড়াশোনার ব্যবস্থা করেন। তিনি স্পোর্টস ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেন, যা দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম। এই স্পোর্টস ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। তিনি বাংলাদেশে প্রথম সংবিধানকেন্দ্রিক স্মারক-স্থাপনা ‘ধ্রুব ’৭২’ সংবিধান আঙিনার উদ্বোধন ঘোষণা করেন। যেখানে চারটি স্তম্ভের মাধ্যমে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের সংবিধানের মূলমন্ত্রগুলো নির্দেশ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই নতুন বছরের ডায়েরি এবং ক্যালেন্ডার সংশ্লিষ্ট সকলের মাঝে পৌঁছানোর ব্যবস্থাও করেছেন তিনি। ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ কর্তৃক একটি অভিন্ন সিলেবাস প্রণয়ন এবং সিলেবাস অনুযায়ী ‘নজরুল স্টাডিজ’ পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করা হয় । তিনি ‘প্রশাসনিক কাজে প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যবহার’ শীর্ষক প্রশিক্ষণের আয়োজন করেন। প্রশিক্ষণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ম ও ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ কর্তৃক নজরুল প্রতিকৃতি চিত্র অ্যালবাম ‘কায়ার ছায়ায় নজরুল’ (২০২২) প্রকাশের ব্যবস্থা করেন। তাছাড়া উন্নতমানের কাগজে তৈরি পরীক্ষার উত্তরপত্র সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রকাশনা, পুস্তক এবং স্মারক বিক্রির জন্য ‘বিপণনকেন্দ্র’ স্থাপন করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধিকতর তথ্য ও সুবিধা সম্বলিত ওয়েবসাইটের ব্যবস্থা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশের অধিক অস্থায়ী শিক্ষকের স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করেন প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।
গবেষণা
প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধকরণ ও ফান্ড প্রদান করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম গবেষণা মেলার আয়োজন করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজন এবং নিয়মিত ওই আয়োজন অব্যাহত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যেই দুটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সম্পন্ন হয়েছে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যেই তৃতীয় আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। তিনি নতুন দুইটি বিভাগ ইতিহাস ও ফার্মেসী খোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেন, যা আগামী শিক্ষাবর্ষ হতে চালু হওয়ার কথা রয়েছে। ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেল (আই.কিউ.এসি) পুনর্গঠন ও কার্যকর গবেষণার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। সকল প্রকার জার্নালের (কেন্দ্রীয়, অনুষদীয় ও বিভাগীয়) প্রকাশ বৃদ্ধি ও নিয়মিতকরণ করা হয়েছে। সকল প্রকার জার্নালের মান বৃদ্ধি করা হয় এবং গবেষণা প্রবন্ধ মানসম্পন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের উদ্বুদ্ধ করেছেন প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ-এর ২০২২-’২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজে এম.ফিল. প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ-এর মাধ্যমে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ও কর্মের ওপর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণা প্রকল্প প্রদান করা হচ্ছে। গবেষণা প্রকল্পের গবেষকদের নিয়ে ‘গবেষণা রীতি-পদ্ধতি’ শীর্ষক কর্মশালার ব্যবস্থা করা হয়। ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ কর্তৃক দিনব্যাপী নজরুল অধ্যয়নের বৈশ্বিক বাস্তবতা শীর্ষক আন্তর্জাতিক নজরুল কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যৌথ উদ্যোগে গবেষণা জার্নাল প্রকাশ করা হয়। গবেষণা ও সম্প্রসারণ কেন্দ্র পুনর্গঠন ও কার্যকর গবেষণার ক্ষেত্র প্রসারিত করা হয়েছে। গবেষণা ও সম্প্রসারণ কেন্দ্রের মাধ্যমে ‘গবেষণা পরিচালনা নীতিমালা ২০২২’ বাস্তবায়নে প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তিনি সকল অনুষদের সম্মানিত শিক্ষকদের গবেষণারত গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন ও মূল্যায়ণের জন্য সেমিনার আয়োজন করেন। প্রতিষ্ঠিত স্বনামধন্য গবেষকদের মাধ্যমে গবেষণা প্রস্তাবনা মূল্যায়নে যুক্ত করে তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উৎসাহিত করার জন্য গবেষণা প্রস্তাবনা গৃহীত হওয়া সাপেক্ষে গবেষণা কেন্দ্র থেকে ফান্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উন্নয়ন
প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর দায়িত্ব নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ওই কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে বর্তমানে তা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। পুরো ক্যাম্পাসে বিশুদ্ধ খাবার পানির সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং এর রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করা হয়। কেন্দ্রীয় মসজিদের নির্মাণ কাজের গতি ত্বরান্বিত করা হয় এবং সে কাজ শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যেই নবনির্মিত মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে এবং নামাজ আদায় শুরু হয়েছে। এখন সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলছে। প্রশাসনিক ভবনের সামনের পুকুর সংস্কার ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণের উদ্যোগ গ্রহণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। পুকুরের পাড়ে স্থাপিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ‘অঞ্জলি লহ মোর’ ভাস্কর্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রাস্তা তৈরি, সংস্কার ও উন্নয়ন করা হয়েছে। শেখ রাসেল কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন করা হয়। লনটেনিস এবং বাস্কেটবল খেলার কোর্ট নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ এবং এই কাজ চলমান রয়েছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন ক্যান্টিন ‘চন্দ্রবিন্দু’ উদ্বোধন করা হয়, যা শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের মিলনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য দুটি বড় বাস ক্রয় করেন প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। আরো একটি নতুন পরিবহণ যুক্ত হতে যাচ্ছে। ‘জয়ধ্বনি’ উন্মুক্ত মঞ্চ তৈরি করা হয়, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে মোবাইল ফোন চার্জের ব্যবস্থা করা ও বড় বড় ছাতা স্থাপন করে ওয়াইফাই সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পাশে লেক তৈরি এবং বঙ্গবন্ধু স্কয়ার নির্মাণ করা হয়। টিএসসি, শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের কোয়ার্টার নির্মাণ কাজ ত্বরান্বিত করা হয়, যা বর্তমানে শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ১০তলা বিশিষ্ট নতুন ছাত্র ও ছাত্রী হলের নির্মাণ কাজ আরম্ভ করা হয়েছে এবং কাজের গতি ত্বরান্বিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কুল ও কলেজ ভবন নির্মাণ কাজের গতি ত্বরান্বিত করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়। যে কারণে এবছর অতিবৃষ্টিতেও ক্যাম্পাসে পানি জমে থাকেনি। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ দ্বারে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা, যার নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টার ‘ব্যথার দান’ বর্ধিতকরণ ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ‘শেখ রাসেল’ এর চতুর্দিকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা বেষ্টনিসহ প্রায় সাড়ে সাতশত বিভিন্ন জাতের বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে। প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শেখ রাসেল’ নামে একটি শিশুপার্ক নির্মাণ করেছেন। যেখানে শেখ রাসেলের আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন রাইডের ব্যবস্থা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সাড়ে তিনশত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য ১০তলা বিশিষ্ট কোয়ার্টার নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। গ্রেড ১৭-২০ কর্মচারীদের জন্য ৬তলা বিশিষ্ট কোয়ার্টার নির্মাণ কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য ১০ তলাবিশিষ্ট দুটি কোয়ার্টার নির্মাণ কাজ আরম্ভ করা হয়েছে। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য ১০তলা বিশিষ্ট দুটি ডরমিটরি নির্মাণ কাজ আরম্ভ করেন। কর্মচারীদের জন্য ১০ তলাবিশিষ্ট দুটি ডরমিটরি নির্মাণ কাজ আরম্ভ করা হয়। ১০ তলাবিশিষ্ট একটি আধুনিক ইন্সটিটিউট ভবন নির্মাণ কাজ আরম্ভ করা হয়েছে। গুরুত্ব ও সৌন্দর্যবর্ধনকল্পে জয় বাংলা ভাস্কর্য স্থানান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ ও কার্যক্রম আরম্ভ করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক তার মাটির নিচ দিয়ে নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় এবং বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়েছে। সোলার প্ল্যান্টের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সকল রাস্তা আলোকিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ক্যাম্পাসে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিশেষজ্ঞের দ্বারা বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশনের রক্ষনাবেক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় এক কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জিরো পয়েন্ট এলাকার মহাসড়কে স্পিডব্রেকার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লিখিত উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে অভূতপূর্ব সফলতা অর্জন করায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন বিষয়ে অবদানের জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটি প্রবর্তিত ‘দীনেশ-রবীন্দ্রপত্র’ সম্মাননা পদক ২০২৩ লাভ করেন। একইসাথে শিক্ষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ঋষিজ পদক ২০২৩ অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে সকলে মিলে সহযোগিতা করলে অদূর ভবিষ্যতে এই বিশ্ববিদ্যালয় নিশ্চয়ই আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করবে।