দেশের জনসংখ্যা বেড়েই চলছে, পুরুষের চেয়ে বেশি নারীরা - দৈনিকশিক্ষা

দেশের জনসংখ্যা বেড়েই চলছে, পুরুষের চেয়ে বেশি নারীরা

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক:  দেশে বেড়েছে জনসংখ্যা। বর্তমানে ১৭ লাখ বেড়ে দেশের মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ১৫ লাখ। মোট জনসংখ্যার মধ্যে নারী ৮ কোটি ৭৩ লাখ এবং পুরুষ ৮ কোটি ৪২ লাখ। অর্থাৎ দেশের পুরুষের চেয়ে ৩১ লাখ বেশি নারী।

রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁও পরিসংখ্যান ভবনে প্রকাশিত বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটাসটিক্স- ২০২৩ জরিপ প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে বিবিএস।

এর আগে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে জনশুমারি অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। সেই হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশের জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ১৫ লাখ। তবে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের আদমশুমারি ভিত্তিতে দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩৫ লাখ।

সংস্থাটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে সর্বশেষ চূড়ান্ত জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। ফলে দেশে নতুন করে দেশে জনসংখ্যা বেড়েছে ১৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৯ জন।

বয়সভিত্তিক জনসংখ্যার বিন্যাস মধ্যে: ০-৪ বছর বয়সী ১০.২২ শতাংশ, ৫-১৪ বছর বয়সী ১৮.৫৬ শতাংশ, ১৫-২৪ বছর বয়সী ১৮.৬৭ শতাংশ, ২৫-৩৯ বছর বয়সী ২২.২৮ শতাংশ, ৪০-৪৯ বছর বয়সী ১১.৮৭ শতাংশ, ৫০-৫৯ বছর বয়সী ৮.৯৩ শতাংশ, ৬০-৬৪ বছর বয়সী ৩.৩৩ শতাংশ এবং ৬৫+ বছর বয়সী ৬.১৪ শতাংশ।

২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে জন্মের সময় প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল পরিসংখ্যানিকভাবে অপরিবর্তিত রয়েছে, যা ৭২.৩ বছর। জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার (RNI) ১.৩৩ শতাংশ যা ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে ছিল ১.৪০ শতাংশ। লিঙ্গ অনুপাত কিছুটা নিম্নমুখী যা ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে দাঁড়িয়েছে ৯৬.৩ শতাংশ এবং নির্ভরশীলতার অনুপাত ৫৩.৭ শতাংশ। 

দেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১,১৭১ জন। প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল জন্মহার ১৯.৪, যা ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে ছিল ১৯.৮। স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তান প্রসবের হার ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ৫৮.৬ শতাংশ সেই তুলনায় হ্রাস পেয়ে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে হয়েছে ৪৯.৩ শতাংশ এবং অস্ত্রোপচার পদ্ধতিতে প্রসবের হার ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের (৪১.৪%) তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে হয়েছে ৫০.৭ শতাংশ। প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল মৃত্যুহার ৬.১ শতাংশ যা ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে ছিল ৫.৮ শতাংশ।

২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের (৬৩.৩%) তুলনায় কিছুটা হ্রাস পেয়ে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে হয়েছে ৬২.১ শতাংশ। জন্মনিয়ন্ত্রণের অপূর্ণ চাহিদা ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের (১৬.৬২%) তুলনায় হ্রাস পেয়ে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে১৫.৫৭ শতাংশ হয়েছে। খানার আকার ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ন্যায় ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দেও অপরিবর্তিত রয়েছে যা ৪.২ জন। তবে, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের তুলনায় ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে নারী খানাপ্রধানের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে এটি ছিল ১৭.৪%, যা ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৮.৯%।

অপরদিকে, পুরুষ খানাপ্রধান ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে ছিল ৮২.৬%, ২০২৩-এ হার হ্রাস পেয়ে হয়েছে ৮১.১ শতাংশ। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের তুলনায় ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭.৫৩ শতাংশে। সাত বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী জনসংখ্যার সাক্ষরতার হার ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে হয়েছে ৭৭.৯ শতাংশ এবং ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ক্ষেত্রে এ হার ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের (৭৪.৪) তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৫.৬ শতাংশ।

এছাড়া, শিক্ষা, কর্মে কিংবা প্রশিক্ষণে নেই এমন তরুণের সংখ্যা ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের (৪০.৬৭%) তুলনায় হ্রাস পেয়ে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে ৩৯.৮৮ শতাংশ হয়েছে। ৫+ বয়সী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী জনসংখ্যার হার ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে হয়েছে ৫৯,৯ শতাংশ। তবে, ১৫+ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এ হার ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের (৭৩.৮) তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৪.২ শতাংশ। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে ১৫+ বছর বয়সীদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হার ৫০.১ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, পরিসংখ্যান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু।

বর্তমানে ছাত্রদের নেতৃত্ব দেয়ার কেউ নেই: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী - dainik shiksha বর্তমানে ছাত্রদের নেতৃত্ব দেয়ার কেউ নেই: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী শিক্ষাখাতের নতুন তদবিরবাজ তিতাস! - dainik shiksha শিক্ষাখাতের নতুন তদবিরবাজ তিতাস! শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে: সমন্বয়ক হান্নান - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে: সমন্বয়ক হান্নান তদন্ত রিপোর্ট না দিয়েই সটকে পড়ছেন শিক্ষা পরিদর্শকরা - dainik shiksha তদন্ত রিপোর্ট না দিয়েই সটকে পড়ছেন শিক্ষা পরিদর্শকরা বরখাস্ত হচ্ছেন শিক্ষা বোর্ডের সেই সচিব নারায়ণ নাথ - dainik shiksha বরখাস্ত হচ্ছেন শিক্ষা বোর্ডের সেই সচিব নারায়ণ নাথ আমরা চাই না ছাত্রদের কঠোর হয়ে দমন করতে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা - dainik shiksha আমরা চাই না ছাত্রদের কঠোর হয়ে দমন করতে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035181045532227