দেশের মানুষকে না খাইয়ে ইলিশ রপ্তানি নয়: মৎস্য উপদেষ্টা - দৈনিকশিক্ষা

দেশের মানুষকে না খাইয়ে ইলিশ রপ্তানি নয়: মৎস্য উপদেষ্টা

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

দেশের মানুষকে না খাইয়ে ইলিশ বাইরে পাঠানো কোনোমতেই অ্যাপ্রুভ করেন না মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, দেশের মানুষ ইলিশ পাবে না, আর বিদেশে রপ্তানি হবে, এটা হতে পারে না। আগে দেশকে গুরুত্ব দিতে হবে।

রোববার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে প্রথম কাজে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নাম যদি ইলিশ মন্ত্রণালয় হতো আমি আপত্তি করতাম না। কারণ ইলিশ একটা বিশেষ মাছ যেটা একমাত্র বাংলাদেশেই হয়। এটা রপ্তানির চেয়েও বেশি আমাদের চেষ্টা করতে হবে দেশের মানুষ যেন ইলিশ মাছটা পায়। সেটার দামটা অহেতুকভাবে বাড়ানো কোনোমতেই যুক্তিসঙ্গত নয়। দেশের মানুষকে না খাইয়ে বাইরে পাঠানো আমি কোনোমতেই অ্যাপ্রুভ করি না। ফলে যদি সেটা রক্ষা করতে পারি আমরা সবাই মিলে ইলিশ খেতে পারি সেটা আমরা চেষ্টা করব।’ 

দুধ, ডিমের মতো পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘করতে হবে। পারবো কি না সেটা পরের কথা। কিন্তু আমার দায়িত্ব হলো দাম কমানো। এখানে অনেক সিন্ডিকেট আছে অনেক লেভেলে। যেমন একটি জায়গায় শুনেছি যে চাঁদাবাজির কারণে দাম বেড়ে যায়। সরবরাহের ক্ষেত্রে যেখানে উৎপাদন হচ্ছে সেখান থেকে বাজার পর্যন্ত আসতে গিয়ে অনেক জায়গায় পয়সা দিতে হয়, যেটা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। সেসব জায়গায় একটা মন্ত্রণালয় একা কাজ করতে পারবে না। এটা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় সবাই মিলে করতে হবে। এসব বিশেষ খাদ্যের দাম বাড়তে দেওয়া যাবে না। আমি আরও আলোচনা করবো কোথায় কোথায় সমস্যা আছে এবং সেখানে গিয়ে অবশ্যই দাম কমাতে চাই।’

ফরিদা আখতার বলেন, আমাদের দেশের মাছ, গরু-ছাগলের যে প্রজাতি আছে তা বিশ্বে উল্লেখযোগ্য। এই মন্ত্রণালয়ে কাজের যে সুযোগ রয়েছে সেদিকে মনোযোগ দেবো। এখানে অনেক গবেষণা হচ্ছে। এখান থেকে মানুষের জীবন-জীবিকা, পুষ্টির জোগান, আমিষের ঘাটতি পূরণের অনেক সুযোগ হবে। অনিয়মের কোনো সুযোগ রাখা উচিত হবে না। আমরা সেটা অবশ্যই দেখবো। কিন্তু প্রথম কাজ হলো একদম গ্রাম পর্যায়ে বা মাঠ পর্যায়ে যে অফিসগুলো আছে সেখানে যাবো। সেখানে যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো চিহ্নিত করবো।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, প্রথম কাজ হচ্ছে মানসম্মত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা। আমিষ নিশ্চিত করা। খাদ্য ও সরবরারের জোগান এমনভাবে নিশ্চিত করতে হবে যাতে কখনো সংকট তৈরি না হয়। মাত্র কাজে যোগ দিয়েছি। আমি খোঁজ-খবর নেবো তারপর কোন বিষয়গুলো অগ্রাধিকার দিতে হবে সেগুলো ঠিক করে কাজ এগিয়ে নেবো। সহিংসতায় যেসব মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ভাঙচুর করা হয়েছে, সেগুলোর সংস্কার কাজও শুরু করা হবে।

ফরিদা আখতার বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে সকল খাদ্যপণ্য ভেজালমুক্ত করতে হবে। সেই সঙ্গে বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়ালে দাম কমে আসবে। এজন্য সরবরাহ বাড়াতে হবে।

এর আগে ফরিদা আখতার সকালে সচিবালয়ে আসেন। নিজ দপ্তরে পৌঁছালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা - dainik shiksha পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা শিক্ষায় কী হলো তিন মাসে - dainik shiksha শিক্ষায় কী হলো তিন মাসে মাদরাসায় চলে যায় প্রাথমিকের ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী - dainik shiksha মাদরাসায় চলে যায় প্রাথমিকের ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক অবশেষে কপাল খুললো পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বাদপড়াদের - dainik shiksha অবশেষে কপাল খুললো পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বাদপড়াদের শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ১৫তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ১৫তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা - dainik shiksha গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! - dainik shiksha দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! - dainik shiksha ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003014087677002